রোবট চালিত যান্ত্রিক দোকান তৈরি করে রোবট বানানোর রিয়্যালিটি শো জিপিএইচ ইস্পাত ‘এসো রোবট বানাই’ প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছে ‘পেরিকোলোসো পিয়াট’। পুরস্কার হিসেবে পেরিকোলোসো পিয়াটের সদস্যদের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়া পোলট্রি কাজে সহায়তাকারী রোবটের জন্য প্রথম রানার্স আপ হয় টিম অপটিমাস প্রাইম।
রোবো কম্ব্যাট চ্যাম্পিয়ন এন এসইউ হাউমাউ পেয়েছে ৭৫ হাজার টাকা প্রথম রানার্সআপ, এআর জে ইনফিনিটি পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা এবই রাইট ফিউরি পেয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
এছাড়া মেস সল্ভিং চ্যাম্পিয়ন শাস্ট এর মেকা ইঞ্জিনিয়ার্স ৫০ হাজার টাকা, প্রথম রানার্স আপ ডুয়েট ওয়ান পেয়েছ ৪০ হাজার টাকার, দ্বিতীয় রানার্স আপ দি সার্ভেরাস পেয়েছে ৩০ হাজার টাকা।
ড্রোন প্রতিযোগিতায় রোটো নিঞ্জা। তারা পেয়েছে ৭৫ হাজার টাকার চেক। প্রথম রানার্সআপ রেসিং স্টার্স পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা। আর দ্বিতীয় রানার্সআপ মিনি নিঞ্জা পেয়েছে ২৫ হাজার টাকার চেক।
অন্যদিকে রোবো সকার চ্যাম্পিয়ন শাস্ট রোবট সেপিয়েন্স ৭৫ হাজার টাকা, প্রথম রানার্স আপ রোবো হেড ৫০ হাজার টাকা, ডিআইইউ গ্রাভিটন পেয়েছে ২৫ হাজার টাকার চেক।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চূড়ান্ত পর্ব শেষে (ফিনালে রাউন্ড) এই দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন বিচারকেরা। পুরস্কার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জিপিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্মের নির্বাহী পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
স্টুডিও রাউন্ডের তিনটি পর্যায় (আমার আইডিয়া আমার রোবট, তোমার আইডিয়া আমার রোবট এবং থিম ভিত্তিক রাউন্ড) পার হয়ে গ্র্যান্ড ফিনালেতে আসে ৩টি দল। এরা হচ্ছে- দ্য আপসাইলন, পেরিকোলোসো পিয়াট এবং টিম রিফ্লেক্স। এ ছাড়াও সবগুলো রাউন্ডে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য ওয়াইল্ড কার্ড এন্ট্রি হিসেবে চূড়ান্ত পর্বে তাদের রোবোট নিয়ে আসে অপটিমাস প্রাইম।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘এখন সময় এসেছে আমাদের নিজেদের মেধাস্বত্ব নিবন্ধন করার। এই লক্ষ্যে আমরা মেধাস্বত্ব একাডেমি প্রতিষ্ঠা করছি। এর মাধ্যমে আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা তাঁদের মেধার আইনি স্বত্ব পাবেন।’
জিপিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাষ্পীয় ইঞ্জিন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে তিনটি শিল্প বিপ্লব হয়েছে, আরেকটি বিপ্লব হতে যাচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি আবিষ্কারের মাধ্যমে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রের তালিকায় স্থান করে নিতে হবে। এর জন্য পুরো জাতিকে শিল্পে উন্নত হতে হবে। এর জন্য নব প্রযুক্তি ব্যবহার ও আবিষ্কার করতে হবে।
চ্যানেল আই-এর পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, তরুণদের এই সব উদ্ভাবনকে আর্থিক সহায়তা করতে হবে। এই কাজে তিনি নিঃস্বার্থে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, সারাদেশ থেকে অডিশনের মাধ্যমে ৩০টি দল নিয়ে মার্চে শুরু হয়েছিল ‘জিপিএইচ ইস্পাত এসো রোবট বানাই’-এর প্রতিযোগিতা। গ্র্যান্ড ফিনালেতে থাকছে চারটি দল, সেখান থেকেই বিচারকের রায়ে নির্বাচিত হবে চ্যাম্পিয়ন দল। তাহের শিপনের পরিচালনায় শো-গুলোর উপস্থাপনায় ছিলেন ইঞ্জিনিয়র নাভেদ মাহমুদ। কিন্তু গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে উপস্থাপনায় দেখা যায় মারিয়া নূরকে। এছাড়াও অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তুলতে প্রতিযোগী ও রোবটদের সঙ্গে দেখা যায় রিয়াজ, ফেরদৌস ও জয়া আহসানের মতো অভিনেতাদের।