২০২২ সালে অসামান্য অবদান ও সহযোগিতার স্বীকৃতি হিসেবে ২৩ জন সাপ্লায়ারকে সম্মাননা জানিয়েছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে নেপাল ও বাংলাদেশের সাপ্লায়ারদের সৌজন্যে ‘পার্টনারস কনভেনশন ২০২২’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাপ্লায়ারদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৯০ জন সাপ্লায়ার অংশগ্রহণ করেন। যাদের কাছ থেকে নিজেদের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পণ্য ও সেবা নিয়ে থাকে হুয়াওয়ে। এসব সাপ্লায়ারদের মধ্যে ২৩ জনকে সম্মাননা জানানো হয়।
স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ও সাপ্লায়ারদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে দীর্ঘসময় ধরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীজনদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করতে ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে ‘পার্টনারস কনভেনশন ২০২২’ আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি সাপ্লায়ারদের সঙ্গে প্রকিউরমেন্ট রুলস (কেনাকাটার নিয়মাবলী) ও পণ্যের গুণগত মান নিয়ে আলোচনা কিংবা বিশেষণ করার সুযোগও তৈরি করে এই প্ল্যাটফর্ম।
অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ের সিইও প্যান জুনফেং, সিএফও শেনঝাওহুই, ডেলিভারি ও সার্ভিসেস বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট উঝিকিয়ান, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের বাংলাদেশ প্রকিউরমেন্ট কোয়ালিফিকেশন বিভাগের পরিচালক ওয়েইবিন চলতি বছরের বিভিন্ন ফলাফল তুলে ধরেন। পাশাপাশি সাপ্লায়ারদের জন্য আগামী বছরের নির্দেশিকাও উপস্থাপন করেন তারা।
এসময় উঝিকিয়ান বলেন, হুয়াওয়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের চাহিদা পূরণে সক্ষম হয়েছে। আমাদের নির্ভরযোগ্য সহযোগীদের অবদানের কারণে গত কয়েক বছরে আমাদের এ অগ্রগতি অর্জন সম্ভব হয়েছে। আমাদের প্রত্য্যাশা আরও বড় পরিসরে সাফল্য অর্জনের জন্য আগামী বছরগুলোতে আমাদের সহযোগীরা তাদের সমর্থন প্রদানের বিষয়টি অব্যাহত রাখবে।
অনুষ্ঠানে শেনঝাওহুই বলেন, হুয়াওয়ে গত ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও নেপালে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা ও পণ্য সহায়তা প্রদান করছে। এসময় হুয়াওয়ে সরকারি কোষাগারে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রাজস্ব প্রদান করেছে, স্থানীয়ভাবে ১০০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য কিনেছে এবং এ দুটি দেশে ২০ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।
এসময় প্যান জুনফেং সাপ্লায়ারদের নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে দক্ষতার সঙ্গে সেবা ও গুণগত পণ্য প্রদানের নির্দেশনা দেন। তিনি উল্লেখ করেন, এ বিষয়গুলোই আরও বড় পরিসরে সাফল্য অর্জনের চাবিকাঠি হতে পারে। হুয়াওয়ের প্রবৃদ্ধিতে স্থানীয় ও বৈশ্বিক যেসব অংশীদার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, তাদের ভূমিকাকে তুলে ধরতে হুয়াওয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এ ধরনের অংশগ্রহণমূলক অনুষ্ঠান সব অংশীজনদের একটি একক লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে ও একসঙ্গে কাজ করতে সহায়তা করবে।