অনলাইন ব্যবহার করে বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা গভীরভাবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং কমিটির অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘সাইবার ক্রাইম…বিদেশে বসে সবসময় অপপ্রচার হচ্ছে। যেভাবে অপপ্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাইবার ক্রিমিন্যালরা সব দেশের বাইরে থাকার কারণে এদের সবসময় নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, কীভাবে তাদের চিহ্নিত করা যায়, আরও পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেগুলো আমরা আরও গভীরভাবে দেখবো।’
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘দেশ থেকে টাকা পাচারের বিষয়টি আমরা ইদানীং পত্রপত্রিকায় দেখেছি। সেগুলো তদন্ত করে দেখা হবে। এরই মধ্যে ৭০০টির বেশি মানি এক্সচেঞ্জের লোকজন ধরা পড়েছে। তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্ষেত্রবিশেষে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্ত হচ্ছে, কে কী পরিমাণ টাকা পাচার করছে, কোথায় পাচার করেছে। রেকর্ড পরীক্ষা করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে তো (অনেককে) ধরাই হয়েছে। তদন্তের পর বলা যাবে- এটা ছোট আকারে আছে নাকি বিশাল আকারে হচ্ছে, কোন গডফাদার আছে, নাকি কোন গ্রুপ আছে নাকি ব্যক্তিকেন্দ্রিক।
‘অপরাধীদের ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে। যাতে সেগুলো দেখে ঘৃণ্য অপরাধীদের ওপর যাতে সবসময় গোয়েন্দ নজরদারি রাখা যায় সেই ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আলাদা আলাদাভাবে কাজ করে। বাহিনীগুলোর তদন্ত কাজ-ডাটাবেজ একটি ছাতার নিচে আনার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই, কাজ যাতে সমন্বিতভাবে হয়। অনেক সময় আছে সমন্বয়টা সময়মতো হয় না। আদান-প্রদান হয় না। যাতে আরও সমন্বিতভাবে কাজ করা যায়, সেই ব্যাপারে দায়িত্বে যারা আছেন তাদের পরমর্শ দেওয়া হয়েছে।’