‘বর্তমান সময়ে বিদ্যুতের উৎপাদন, সরবরাহ ও চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে জাতীয় গ্রিডের উন্নয়ন না করা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না করার কারণেই জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় হতে পারে।’
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) দাবি- তারা জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড ও সঞ্চালন লাইনকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়ন করেছেন। তাহলে আমাদের প্রশ্ন- দুদিন পার হলেও গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ জানা যাচ্ছে না কেন?
‘আধুনিক প্রযুক্তি যদি ব্যবহার করাই হতো, তাহলে ত্রুটি কোথায় তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তৎক্ষণাৎ শনাক্ত করা যেতো। প্রযুক্তিগতভাবে তাদের হাতে বিশাল একটি ফাইবার নেটওয়ার্ক থাকা সত্ত্বেও তারা প্রযুক্তিগত ব্যবহার গড়ে তুলতে পারেনি।’
তিনি বলেন, নিজেরা ব্যবহার করতে না পারলেও, বেসরকারি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলোর কাছে তাদের ফাইবার লিজ দিয়ে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা আয় করছে পিজিসিবি। প্রকৃতপক্ষে সাইবার নিরাপত্তায় পিজিসিবি কতটুকু উন্নতি করেছে, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার।
‘বর্তমান প্রযুক্তির যুগে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ও টেলিকমিউনিকেশন সেবা সচল রাখতে বিদ্যুৎ সরবরাহও নিরবচ্ছিন্ন হওয়া জরুরি। জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের ফলে সব ধরনের যোগাযোগ ও কার্যক্রম বন্ধ হয়ে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছিল। আগামী দিনে যাতে এ ধরনের বিপর্যয় আর না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে সরকারকে অনুরোধ করছি।’