ডিজিটাল জীবনমান সূচকে ২৭ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল কোয়ালিটি অব লাইফ (DQL) ইনডেক্স ২০২২ অনুযায়ী, ২৭ ধাপ উপরে উঠে বিশ্বের ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৭৬তম। আর এষিয়ায় ২৩তম। সূচক অনুযায়ী, এবার ডিজিটাল জীবনমান সূচকে শীর্ষে রয়েছে ইসরায়েল। আর গত বছরে শীর্ষে থাকা ডেনমার্ক দ্বিতীয় হয়েছে। তালিকায় পর্যায়ক্রম অনুযায়ী, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ দশে রয়েছে।
চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর চতুর্থ বার্ষিক সূচক সংস্করণের ডিজিটাল সূচক বিষয়ে অগ্রগতির তথ্য প্রকাশ করেছে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি সার্ফশার্ক। এতে বাংলাদেশ অভাবনীয় অগ্রগতি করেছে।
পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের ভিত্তিতে দেশগুলোকে মূল্যায়ন করেছে সার্ফশার্ক। সেগুলো হলো ইন্টারনেট সাশ্রয়ী, ইন্টারনেটের গুণমান, ইলেকট্রনিক অবকাঠামো, ইলেকট্রনিক নিরাপত্তা এবং ই-গভর্মেন্ট ব্যবস্থা। এর মধ্যে ই-গভর্মেন্ট স্তম্ভ বাদে বাকি ৪টি সূচকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে। ফলে গত বছরের ১০৩তম অবস্থান থেকে উন্নতি ঘটেছে দ্রুত গতিতে।
এদিকে এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও পাকিস্তান যথাক্রমে ৮৯তম, ৯৪তম এবং ৯৬তম স্থানে রয়েছে। সূচক অনুযায়ী, প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৫৯। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সূচক অগ্রগতিতে ভারতের পরই রয়েছে বাংলাদেশ। ওই অর্থে ডিজিটাল জীবনমান সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়।
এর আগের বছর ডিজিটাল সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৩। নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক সাইবারসিকিউরিটি কোম্পানি সার্ফশার্ক গত বছর ১১০টি জনগণের ডিজিটাল কল্যাণের মান নিয়ে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
সূচক অনুযায়ী এ বছর ইন্টারনেট সক্ষমতা স্তম্ভে বাংলাদেশের সূচক এগিয়ে হয়েছে ২৯তম যা আগের বছর ছিল ৮৪। ইন্টারনেট মানে সূচক এগিয়ে হয়েছে ৬৭, যা আগের বছর ছিল ৮৯তম। ই-অবকাঠামোতে বাংলাদেশ এগিয়ে হয়েছে ৮৫তম যা আগের বছর ছিল ৮৯। ই নিরাপত্তায় বাংলাদেশ ৭৫তম যা আগের বছর ছিল ১০৩। তবে এবার ই-গভর্মেন্ট সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। যা আগের বছর ছিল ৮৬ তম। এবারও এই সূচক স্থির রয়েছে।