‘হালকা প্রকৌশল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২২’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (২২ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এ নীতিমালার অধীনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ‘হালকা প্রকৌশল শিল্প’ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৪০ হাজার হালকা প্রকৌশল শিল্প রয়েছে। ৬ লাখ প্রযুক্তিগত দক্ষ এবং উদ্যোক্তা সক্রিয়ভাবে জড়িত। তাদের জন্য এটি প্রণোদনার মতো কাজ হবে। তারা কাজের জন্য উৎসাহী হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে হালকা প্রকৌশল হবে (লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং) এটার একটা নীতিমালা নিয়ে আসা হয়েছে। এটার জন্য স্থানীয় শিল্পের প্রসার হবে এবং শিল্প খাতের ভূমিকা আরও বাড়বে। আমাদের অর্থনীতির উন্নয়ন আরও বৃদ্ধি পাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা যে উন্নত দেশ হতে যাচ্ছি, সেক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এই নীতিমালার আওতায় যারা অথেনটিক প্রডিউসার তারা অনেক রকমের ব্যাকআপ পাবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে বিশেষ সুবিধা আছে, যেটা ২ পার্সেন্ট রেট অফ ইন্টারেস্ট। এ খাতগুলোতে নীতিমালা অনুসরণে বিনিয়োগ করলে তারা সে সুবিধাগুলো পাবে।
তিনি বলেন, ৫০০ কোটি টাকার একটা ফান্ড আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। ব্যাংক থেকেও তারা ২ পার্সেন্ট রেট অফ ইন্টারেস্টে ঋণ নিতে পারবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্যও একটা বিশেষ প্রভিশন আছে। ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনও সিকিউরিটি ছাড়া ঋণ নিতে পারে। কিন্তু সেটা বিভিন্ন কারণে এটা বিনিয়োগ হচ্ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংক এটাকে প্রমোট করবে, যাতে নারী উদ্যোক্তারাও যেন এ সেক্টরের অধীনে হলে ওটারও বেনিফিট পায়।