প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন হয়েছে। এক্ষেত্রে বেসিস তথা বেসরকারি খাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এখন সময় এসেছে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের। আর এটা করতে ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের বিকল্প নেই বলে মনে করেন অংশীজনেরা। তাদের মতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং এই ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি টেকসই মডেলের বিকল্প নেই। আর সেই কাজটা বাস্তবায়নে বেসিসের প্রায় দুই হাজার সদস্য প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাচ্ছে।
সেক্ষেত্রে সরকারের প্রয়োজনীয় পলিসি সহায়তাসহ করণীয় বিষয়গুলো নির্ধারণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে : আইসিটি শিল্পের ভূমিকা’ খাত ভিত্তিক উপস্থাপনায় তুলে ধরেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
রবিবার (১২ জুন ২০২২) রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনের গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ সভায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বেসিসসহ সংগঠনটির সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো যে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে সেইসব সাফল্যের গল্পগুলো তুলে ধরা হয়।
ই-গভর্নেন্স খাত নিয়ে বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরী হিমিকা, স্টার্টআপ খাত নিয়ে বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ, আন্তর্জাতিক বাজার নিয়ে বেসিসের উপদেষ্টা ও অ্যাডকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম ফারহান চৌধুরী, ই-কমার্স খাত বিষয়ে চালডাল ডটকমের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম আলিম, ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিস নিয়ে বেসিসের ফোর আইআর স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান নাহিদ হাসান এবং কনট্যাক্ট সেন্টার ও বিপিও খাত নিয়ে বাক্কোর সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ এসব গল্প তুলে ধরেন।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এরপরই অতিথিদের অংশগ্রহণে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আইসিটি শিল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ভাইস চ্যান্সেলর ড. রুবানা হক।
অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ জানান, মানবসম্পদ উন্নয়ন আমাদের সবচেয়ে , ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ। ইন্ডাস্ট্রি যাতে মানবসম্পদ উন্নয়নের দায়িত্ব পায় তাহলে গার্মেন্টস খাতের মতো তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও যোগ্য জনবল তৈরি সম্ভব হবে। ২০৩০ পর্যন্ত ট্যাক্স রহিতকরণ, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপের একটি রোডম্যাপ করা এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইং চালু করতে সরকারে সহায়তায় নেতৃত্ব দেয়ার প্রস্তাব দেন বেসিস সভাপতি।
তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম থেকে সারা বাংলাদেশের মানুষ এখন বিশ্বাস করে স্মার্ট বাংলাদেশ সম্ভব এবং আমরা এর অংশীদার হতে চাই।
অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বেসিস কনট্যাক্ট সেন্টার’ উদ্বোধন করা হয়। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠনটির সদস্যরা যাতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ও দ্রুততার সাথে বেসিসের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ও সদস্যসেবা উন্নত ও কার্যকরী হয়, সেই লক্ষে বেসিস কনট্যাক্ট সেন্টারের জন্য বিটিআরসি অনুমোদিত শর্ট কোড (১৬৪৮৮) চালু করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলো এডিএন টেলিকম এবং ফ্লোরা টেলিকম।