সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিত মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিনগত রাত ১২টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
পৃথক শোক বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে বাংলাদেশের অর্থ ব্যবস্থাপনার কিংবন্তী উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, “তিনি ছিলেন এক বিরল প্রতিভার অধিকারী। মন্ত্রী ২০০৮ সালে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন এবং ২০০৯ পরবর্তী সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে তার অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ একজন বিরল প্রতিভা হারিয়েছে আমি হারিয়েছি একজন অতি আপনজন।”
শোকবার্তায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, “আবুল মাল আবদুল মুহিত ছিলেন একাধারে খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক ও ভাষাসৈনিক। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাঁর অবদান জাতি চিরকৃতজ্ঞতার সঙ্গে সবসময় স্মরণ করবে।”
অবশ্য সতীর্থ, রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা ছাড়াও তার মৃত্যুশোকে কাতর দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক ও টুইটারে দেশের প্রযুক্তিজনেরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছেন তাঁর কীতিকথা। শেয়ার করছেন সেলফি। ঘুরে ফিরে আসছে তার সময়েই জাতীয় বাজেট থেকে কম্পিউটারের ওপর শুল্ক সুবিধা সহ নানা ধরনের ভ্যাট-কর সুবিধা ও ইনসেন্টিভ পাওয়া বিষয়।
শোক পোস্টে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক লিখেছেন, “একজন সৎ ভালো মানুষ সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত আজ মারা গেলেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। এই তো সেদিন প্রথম আলোয় তাঁর শেষ সাক্ষাত্কারটি পড়লাম। কী সাদাসিধে কথা! বাংলাদেশের আজকের এই শক্ত-পোক্ত অর্থনৈতিক অবস্হান বিনির্মাণে এই মানুষটার অবদান সচেতন মানুষমাত্রই মনে রাখবে। তাঁর মতো সৎ নির্ভিক সাদা মনের মানুষ রাজনীতিতে বিরল বললেও কম বলা হবে। আল্লাহ তাঁর আত্মার মাগফিরাত করুন।”
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ লিখেছেন “আবুল মাল আব্দুল মুহিত – নিজ গুনেই উনি অনেকের মাঝে আলাদা হয়েছেন। ওনার সম্পর্কে কিছু বলার জন্য আমি অনেক ক্ষুদ্র। একজন নিপাট ভদ্রলোক, অমায়িক সজ্জন, সদা হাস্যোজ্জ্বল, তথ্যপ্রযুক্তি বান্ধব বিশাল ব্যক্তিত্বের মানুষটির বিদায়ে আমরা সবাই মর্মাহত।”
সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ তানভির জোহা লিখেছেন, “স্যার,আপনার উপদেশ আমার সারাজীবন মনে থাকবে।আল্লাহ আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আমিন।”
এভাবে নেটিজেনরা একের পর এক পোস্ট করে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এই ‘মহাতৃপ্তির, মহাপ্রাপ্তির’ কর্মময় জীবনের যবনিকাপাত নিয়ে।