প্রথম দিনেই ২০ ঘণ্টার মতো অফলাইনে থেকে ফের অনলাইনে ফিরেছে বাংলাদেশ রেলওয়ের অনলাইন টিকিট সেবা। ফলে এখন মাত্র তিন ধাপে বাধাহীন টিকিট কাটতে সক্ষম হচ্ছেন যাত্রীরা। রবিবার সকাল ৮টা থেকে সহজেই টিকিটি কাটা যাচ্ছে।
এর আগে ছুটির আমেজে শনিবার স্বাধীনতা দিবসে‘সহজ’র মাধ্যমে রেলের নতুন ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু প্রথম ঘণ্টাতেই ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। টিকেট তো দূরের কথা দ্বিতীয় ঘণ্টার আগেই নতুন ওয়েবসাইটে ঢোকাই যাচ্ছিল না।
তখন ই-টিকেটিংয়ের নতুন সার্ভিস প্রোভাইডার সহজ লিমিটেড জানায়, প্রথম দিনই তারা ‘সাইবার আক্রমণের’ শিকার হয়েছে।
তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছে, সাইবার আক্রমণের কথা তাদের জানা নেই। তারা জেনেছেন, টিকেট কাটার চাপে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
রেলওয়ের উপপরিচালক (টিসি) নাহিদ হাসান খাঁন গণমাধ্যামে এর ব্যখ্যা দিয়ে বলেন, “নতুন সিস্টেমে অনলাইন টিকেটিং সকাল ৮টা থেকেই চালু হয়েছে। কেউই পায়নি এমনটা নয়; তবে অনেকেই পায়নি এটা ঠিক। আগের সিস্টেমে প্রায় ৪০ লাখের উপর রেজিষ্ট্রেশন করা ছিল। তাদের আবার নতুনভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হচ্ছে, তাই সার্ভারে চাপটা একটু বেশি পড়ে গেছে। মাঝে মাঝেই সার্ভার ডাউন হচ্ছে, আবার কিছুক্ষণ পর পর ঠিকও হয়ে যাচ্ছে।”
বিষয়টি নিয়ে সহজ’র জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক ফারহাত আহমেদ ডিজিবাংলা-কে বলেন, “শুধু অনলাইনে এই অচলাবস্থাটা তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন স্টেশনে কম্পিউটারাইজ প্রোগ্রামে কোনো সমস্যা হয়নি। আজকে প্রথমদিন, একটু সমস্যা হবেই। তার মানে এই নয় যে টিকেটিং বন্ধ আছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত আমরা দেশের ৭৭টা স্টেশনে কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে প্রায় ৪১ হাজার টিকিট বিক্রি করেছি। ”
তবে ‘খুব দ্রুতই অনলাইনে ফিরতে প্রকৌশলীরা কাজ করছেন’ জানিয়ে তিনি রবিবার সকালের মধ্যেই অনলাইনে ফেরার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন।
এতদিন রেলের কম্পিউটারাইজড টিকেটিংয়ের কাজটি করে আসছিল ‘সিএনএস’ নামের একটি কোম্পানি। এখন সেই কাজ পেয়েছে সহজ, সিনেসিস ও ভিনসেন জয়েন্ট ভেঞ্চার। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই ভেঞ্চারের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।