আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডের বিগত তিন আসরে স্বর্ণপদক অর্জনসহ বাংলাদেশ দলের অভাবনীয় সাফল্যের ধারাবাহিকতায় শুরু হলো ৪র্থ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড (বিডিআরও)।
১৬ সেপ্টেম্বর, ভার্চুয়াল আয়োজনের মধ্য দিয়ে এবারের আসরের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, রোবট মানুষের কর্মসংস্থান কেড়ে নেবে না, বরং বৃদ্ধি করবে কর্মসংস্থান।
পলক বলেন, সেইদিন আর বেশি দূরে নেই, যখন বাংলাদেশের মাটিতে বিশ্বমানের রোবট তৈরি হবে এবং এই রোবটিক্স ইন্ডাস্ট্রি থেকে লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশে রোবট ম্যানুফ্যাকচারিং হবে, বাংলাদেশে রোবট ডিজাইন হবে,বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা রোবট প্রোগ্রামিং করবে, রোবটকে পরিচালনা করবে। সারা বিশ্বে জ্ঞানভিত্তিক এই সেবাটি দেবে। এতে দেশে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় হবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।
উদ্বোধকের বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০, ভিশন ২০৪১ এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাকার্যক্রমে এসবের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
অদূর ভবিষ্যতে রোবটের ব্যাপকতা নিয়ে নানা তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, প্রযুক্তিগুলো যদি দেশের নতুন প্রজন্মকে শিখানো যায় এতে দেশের বড় একটি কাজ হবে।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান।
এ বছরের বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াডের মূল থিম- ‘সোশ্যাল রোবট’। এর আয়োজক সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক। বাস্তবায়ন সহযোগী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।