ক্লাউড প্রযুক্তির বিকাশে বিদেশে হোস্টিংয়ের চেয়ে দেশেই হোস্টিং শিল্প বিকাশে প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
তিনি বলেন, ফ্লাই ওভারের চেয়ে যেমন দেশের রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন করা দরকার, তেমনি ক্লাউড কম্পিউটিং রিসোর্স শেয়ার করতে হবে। ব্যবহারযোগ্য জিনিস ফেলে রাখা উচিত নয়।
সোমবার রাজধানীর কাওরান বাজারে অবস্থিত সফটওয়্যার টেকনলোজি পার্কে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ভবিষ্যত বিষয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম।
কর্মশালায় ক্লাউড কম্পিউটারে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও এর কারিগরি দিক তুলে ধরেন প্লেক্সাস এর গ্রুপ অর্গানাইজার মোবারক হোসেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউ, সাধারণ সম্পাদক হাসান জাকির প্রমুখ।
প্রণবন্ত আলোচনায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, দেশের নাগরিকদের ২০ সেকেন্ড যে কত মূল্যবান, তা যদি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিতে পারি তবে আমাদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। উত্তরণ আমাদের হবেই।
তিনি আরো বলেন, তুলনা মূলক বিচারে আমাদের আইসিটি খাত দারুণভাবে সফল তা বলা যাবে না। আইটিইউ এর সূচকে আমরা ভালো জায়গায় নেই। আমাদের ছোট দেশ তাই বুদ্ধি করে বিনিয়োগ করতে হবে।
বাংলাদেশের ডেটা সেন্টারে সার্ভার হেস্টিং করা অধিকতর বুদ্ধিমানের কাজ বলে এসময় মত দেন প্রাজ্ঞ এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, এতে করে ডেটা স্থানান্তর সময় খরচ কমবে। আর ল্যাটেন্সি নিশ্চিত করতে ইন্টা নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনাকে আরো সুসংহত করতে হবে।
ক্লাউডে ডাটার নিরাপত্তা বিষয়ে অধ্যাপক কায়কোবাদ বলেন, দেশের তরুণদের মেধাকে কাজে লাগিয়েই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হবে। বিদেশীদের দিয়ে নয়। দেশের সীমান্তের পাহাড়ায় দেশের মানুষ, দেশের প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা রাখতে হবে।