তথ্যপ্রযুক্তি সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোসহ চারটি বিষয়ে গুরুত্বরোপ করেছেন ডি-৮ জোটের বর্তমান সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে জোট নেতাদের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
ডি-৮-এর চার দিনব্যাপী দশম শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্কের নেতারা ভার্চুয়াল এ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন ।
বক্তব্যে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে যুবশক্তিকে কাজে লাগানো, তথ্যপ্রযুক্তি সম্ভবনার পূর্ণ ব্যবহার, প্রয়োজনীয় আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও অবকাঠামোগত কর্মকাঠামো তৈরি; কানেকটিভিটি বাড়ানো, সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান।
সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, যুব উন্নয়নে জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, যুবরা ব্যবসায়িক ধারণা, মডেল, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এবারের ডি-৮ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে অংশীদারিত্ব: যুবশক্তি ও প্রযুক্তির প্রস্তুতি’ । সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে গত এক দশকে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির ওপর জোর দিয়েছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে কার্যকরী অংশীদারিত্ব এবং বৃহত্তর সহযোগিতা প্রয়োজন।”
ডি-৮ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন জোটের সদস্য দেশ মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ সিসি, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বুহারি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।