করোনার সময়ে আজকের ডিজিটাল পদ্ধতি আমাদের জন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কাজের গতিশীলতার পাশাপাশি এই সময়ে ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচার প্রাপ্তি আরও সহজ হয়েছে। এজন্য প্রতিটি কারাগারকেই ভার্চুয়াল কোর্টে সংযুক্তির সুব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকায় নবনির্মিত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন তিনি।
বক্তব্যে দেশের ১৩টি জেলা আদালত ভবনে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে ঘরেই আদলতের সুবিধা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে বেলে উল্লেখ করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ১৩ টি জেলায় ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে আদালতের দৈনিক কার্যতালিকা পরিদর্শনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঘরে বসেই সব কিছু দেখতে পারে মানুষ। বোর্ড লাগানো আছে কারো কাছে জিজ্ঞাসাও করতে হবে না, কাগজেও খুঁজতে হবে না। বোর্ডের দিকে তাকালেই ডিজিটাল সিস্টেমে সব কিছু জানা যাচ্ছে।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আদালতের তথ্য জানা যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ফলে সংসদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ল অব বাংলাদেশ ওয়েবসাইটিতে সকল মূল আইন হালনাগাদ করে প্রকাশ করা হচ্ছে। ফলে নাগরিকদের জন্য প্রচলিত আইন জানা সহজ হচ্ছে।
প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে প্রথমে একটু সমস্যা হলেও এর মাধ্যমে মামলায় স্বচ্ছতা ও দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে দ্রুততম সময়ে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকরা সচেষ্ট হবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।