দেশি অংশীদার ছাড়াই এখন থেকে বিদেশি উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের ডিজিটাল কমার্স খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা’ থেকে ডিজিটাল কমার্স খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘দেশীয় অংশীদার রাখার’ ও ‘দেশীয় শিল্পের স্বার্থসমূহকে প্রাধান্য দেওয়ার’ শর্ত বাদ দিয়ে এই খাতে বিনিয়োগ প্রাসারের এই সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালার এই সংশোধন অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,
“আগের নীতিমালায় ছিল- ‘ডিজিটাল কমার্স খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধিবিধান প্রতিপালন করতে হবে; তবে বিদেশি ডিজিটাল কমার্স ইন্ডাস্ট্রি দেশীয় কোনো ইন্ডাস্ট্রির সাথে যৌথ বিনিয়োগ ছাড়া এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না এবং দেশিয় ডিজিটাল কমার্স ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থসমূহকে প্রাধান্য দেওয়া হবে’।
তিনি বলেন, “আজ নীতিমালার আইনি কাঠামো (ধারা ৩.৬.৭) সংশোধন করে ডিজিটাল কমার্স খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘দেশীয় অংশীদার রাখার’ ও ‘দেশীয় শিল্পের স্বার্থসমূহকে প্রাধান্য দেওয়ার’ শর্ত বাদ দেওয়া হয়েছে।”
“এটাকে পরিবর্তন করে ‘ডিজিটাল কমার্সখাতে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বিধিবিধান প্রতিপালন করতে’ শুধু এই অংশটুকু রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, বিদেশি ডিজিটাল কমার্স ইন্ডাস্ট্রি দেশীয় কোনো ইন্ডাস্ট্রির সাথে যৌথ বিনিয়োগ ছাড়া এককভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না বলে আগের নীতিমালায় যে বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছিল তা তুলে দিল সরকার। যোগ করেন তিনি।”
প্রসঙ্গত, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পণ্য-সেবা বিক্রি ও ডিজিটাল লেনদেন নিয়ে ২০১৮ সালের জুলাইতে ‘জাতীয় ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা’ মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়। পরে বছর ৩১ জানুয়ারি থেকে এটা কার্যকর হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এছাড়া ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা সংশোধনের ক্ষমতাও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হাত থেকে মন্ত্রিসভা নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছে। ফলে এখন থেকে এ নীতিমালা সংশোধন করতে হলে তা মন্ত্রিসভায় তুলতে হবে।