শুরু হলো বেসিস সফট এক্সপো ২০২০। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ৩টায় মেলার উদ্বোধন স্থল আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি)-তে পৌঁছেন রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ। তিনি স্টেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত। এরপর একে এক শুরু হয় পবিত্র কোরআন থেকে পাঠ করা হয়। এরপর একটি ডামি মোবাইলে ফোনের বাটন চেপে মেলার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি।
এই বাটন চাপার সঙ্গে সঙ্গে একটি ভিডিও তথ্যচিত্রে দেশের আইসিটি খাতের হালচাল তুলে ধরা হয়।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, মেলার প্লাটিনাম স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসিস সফটএক্সপো ২০২০ এর আহ্বায়ক এবং বেসিস-এর সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান। বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রদর্শনী এলাকাকে দশটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন এবং এক্সপেরিয়েন্স জোন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা তুলে ধরবে। রয়েছে ভ্যাট জোন, ডিজিটাল এডুকেশন জোন, ফিনটেক জোন, উইমেন জোন এবং বরাবরের মতো রয়েছে সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শনী জোন, উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন, ডিজিটাল কমার্স জোন, আইটিইএস ও বিপিও জোন। থাকবে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার, যেখানে বক্তব্য রাখবেন শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
ডিবিবিএল-এর চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নিরলস অবদানের কারণেই। বেসিস সফটএক্সপো ২০২০-এ প্লাটিনাম পার্টনার হিসেবে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।
বেসিস সফট এক্সপো ২০২০ প্রসঙ্গে বেসিসের সভাপতি জনাব সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে বিদেশে অনেক বড়ো বড়ো প্রকল্পে নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিচ্ছে। সেজন্য দেশের সকল কাজ বিদেশিদের দিয়ে করা গেলেও তা স্থানীয় কোম্পানিদের দিয়েই বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এজন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।