ঢাকায় বিজ্ঞান জাদুঘরে ছাদ থেকে আংশিক বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখলেন শতাধিত শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী মানুষ। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ২ মিনিটে ঢাকা থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। এটি শেষ হয় দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে। তবে ১০টা ২৮ মিনিটে সূর্যের সর্বোচ্চ অংশ দেখা গেছে। অর্থাৎ ওই সময়ে চাঁদ সূর্যের কেন্দ্রের সবচেয়ে কাছাকাছি আসে। এর পর থেকেই এটি ছোট হয়ে আসে। এভাবেই ১২টা ৮ মিনিটে চাঁদ সূর্যের সাথে স্পর্শ ত্যাগ করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী।
সূর্যগ্রহণের সময় বিভিন্ন কুসংস্কার সম্বন্ধে তিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সময় কিছু খাওয়া যাবেনাসহ আরও অনেক কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। এসব কুসংস্কারের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তবে সূর্যগ্রহণের সময় খালি চোখে সূর্য দেখা যাবে না, এটাই সবচেয়ে বড় কথা। আর সে কারণেই আমরা বিজ্ঞান জাদুঘরে টেলিস্কোপ দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখার ব্যবস্থা করেছি।
জানাগেছে, ১৭২ বছর পর এই বলয় গ্রহণ দেখা যাচ্ছে বলা হলেও মূলতঃ ১৮ বছর পর পর এই ‘রিং অব ফায়ার’ দেখা যায়। অবস্থান ও কক্ষতল কোণের কারণে এবার শ্রীলঙ্কার জাফনা থেকে এই বলয় গ্রহণটি সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। সে কারণেই জাফনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রচারকৃত দৃশ্য পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের প্রজেক্টারে দেখানো হয়।
সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য ও পৃথিবীর মাঝামাঝি চলে আসে চাঁদ। যে কারণে সূর্য ঢেকে যায়। এটি একটি বিরল ঘটনা। এই বিরল দৃশ্য অবোলকন করতে (আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখতে) রাজধানীর বিজ্ঞান জাদুঘরে সকাল থেকেই ভিড় করেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা বয়সী মানুষ। ভবনের ছাদে স্থাপিম টেলিস্কোপ দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখেন আগতরা। এ বিষয়ে নানা তথ্য জানতে চান উপস্থিত বিশেষজ্ঞদের কাছে।