দেশের আট বিভাগের ১৬ জেলায় শুরু হয়েছে। অ্যাপ এর মাধ্যমে ধান সংগ্রহ অভিযান। এর আওতায় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে ধান সংগ্রহ শুরু করেছে।
ডিজিটাল খাদ্য-শষ্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনার আওতায় দুপুরে রংপুর খাদ্য গুদামে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন। এ সময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ আব্দুল কাদির, জেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আরিফ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ধান সংগ্রহ চলবে আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। এতে নির্বাচিত কৃষকরা ধান দিতে পারবেন।
সূত্রমতে, ডিজিটাল খাদ্য-শষ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ এর মাধ্যমে কৃষকরা আগে নিবন্ধিত হন। পরে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লটারির মাধ্যমে কৃষকদের তালিকা নির্বাচন করা হয়।
স্থানীয় খাদ্য গুদাম সূত্রে জানাগেছে, রংপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশন এলাকার ক্ষুদ্র কৃষক এক হাজার ৩৫০ জন, মাঝারি কৃষক ৫০৫ জন, বড় কৃষক ২২৪ জনসহ মোট দুই হাজার ৭৯ জন কৃষকের কাছ থেকে দুই হাজার ৬৯৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে।
প্রতিকেজি ২৬ টাকা দরে ক্ষুদ্র কৃষক এক হাজার কেজি, মাঝারি কৃষক এক হাজার ৬০০ কেজি ও বড় কৃষক দুই হাজার ৪০০ কেজি ধান দিতে পারবেন। ।
খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম জানিয়েছেন, ‘কৃষকের অ্যাপ’ নামে এই অ্যাপটি তৈরি করেছে কম্পিউটার কাউন্সিল। অ্যাপে ধান বিক্রি করতে ৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজেদের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ পেয়েছেন কৃষকরা। ১৬ জেলায় খাদ্য বিভাগের জেলা ও থানা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবাকেন্দ্র থেকেও অ্যান্ড্রয়েড ফোন না থাকা কৃষকরা নিবন্ধন করতে পেরেছেন। নিবন্ধিত কৃষকদের মাধ্য থেকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে লটারি করে কৃষক নির্বাচনের মাধ্যমে এখন ধান সংগ্রহ চলছে।