সেবার মান বৃদ্ধি ও ঝুঁকি কমাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবার মান নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ ও শিশুদের অনুপযোগী কনটেন্ট বন্ধ করতে এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। উদ্যোগ বাস্তবায়নে নতুন বছর থেকেই প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ও কারিগরি সক্ষমতা যাচাই শুরু করবে সরকার।
মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানিয়ছেন, আর্থিক ও কারিগরি সক্ষমতা যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইএসপি পরিচালনার বিষয়েও বেশকিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের লগ সংরক্ষণ করতে হবে। প্যারেন্টাল গাইডেন্স ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেও তাদের তথ্য সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
জানাগেছে, সম্প্রতি সাইবার অপরাধী শনাক্তকরণে দেশের সব ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতি ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) লগ সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের সব আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে এক বছর আইপি লগ সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশনা দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পাশাপাশি ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও ব্যবহারকারীর পরিচয় সংরক্ষণের নির্দেশনা দেয় সংস্থাটি। আইএসপি ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেয়া বিটিআরসির এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ নির্দেশনা মেনে চলতে হবে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর। আইপি লগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ডিভাইসের পরিচয়, সময় ও ওয়েবসাইটের ঠিকানা সংরক্ষণ করতে হবে।
সূত্রমতে, ছয়টি শ্রেণীতে দেশে বর্তমানে মোট ১ হাজার ৮৮৮ লাইসেন্সধারী আইএসপি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে নেশনওয়াইড ১৩৩টি, সেন্ট্রাল ৮৬ ও জোনাল লাইসেন্স এর সংখ্যা ২২৪টি।
প্রসঙ্গত, অঞ্চলভিত্তিক দেয়া হয় নেশনওয়াইড, সেন্ট্রাল ও জোনাল—এ তিন ধরনের লাইসেন্স। আর সাইবার ক্যাফেগুলোকে দেয়া স্থানীয় আইএসপি লাইসেন্সের জন্যও তিনটি শ্রেণী রয়েছে—এ, বি ও সি।আর এ শ্রেণীতে ৮৪৪, বি শ্রেণীতে ১০৭ ও সি শ্রেণীতে ৪৯৪টি লাইসেন্স দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।