তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা। ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে প্রযুক্তিখাতের গণমাধ্যমকর্মীদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন দাবি উঠে আসে।
বিআইজেএফ সভাপতি মোজাহেদুল ইসলাম ঢেউয়ের সভাপতিত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রতি ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি এ ইউ খান জুয়েল, ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, দৈনিক প্রথম আলো’র ডেপুটি ফিচার এডিটর পল্লব মোহাইমেন প্রমুখ।
সহ সভাপতি নাজনিন নাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, যথাযথ পরিকল্পনা ও রূপরেখা তৈরি করা না হলে ২০২১ সাল নাগাদ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে দেশীয় প্রযুক্তি পণ্য ও সেবার ব্র্যান্ডিংয়ে জোর দেয়ার পাশাপাশি গবেষণা ও উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পেশাদার প্রশিক্ষণ জোরদার করতে হবে। তা না হলে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যহত হবে।
অনুষ্ঠানে বিআইজেএফ সভাপতি মোজাহেদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের ৬৭টি দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন পণ্য ও সেবা রপ্তানি হচ্ছে। এক বিলিয়ন ডলার এ খাত থেকে রপ্তানি আয় আসছে। তবে ২০২১ সালের মধ্যে এ খাত থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় করতে চায় সরকার। এ জন্য দেশে ২৮টি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। তবে এসব পার্ক স্বল্প পরিসরে চালু হয়েছে। এসব পার্কে দ্রুত উৎপাদনশীল কার্যক্রম চালু করতে হবে। তা না হলে কাঙ্খিত লক্ষ্যে বাংলাদেশ যথাসময়ে পৌঁছাতে পারবে না।
সভায় মেড ইন বাংলাদেশ স্লোগান এগিয়ে নিতে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাড়তি সহযোগিতা দিয়ে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান বিসিএস পারিচালক এ ইউ খান জুয়েল। তিনি বলেন, উৎপাদকদের মাধ্যমে ভোক্তাদের বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করণে গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশী কোম্পানিগুলো শুধু মানাফাই করবে না তাদেরকে সেবাও নিশ্চিত করতে হবে।
ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ই-কমার্স দেশের জন্য একটি অপার সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। তাই ক্রস বডার ই-কমার্স নিয়ে এখন জোর কদমে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে হলে গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের নীতিতে এগিয়ে যেতে হবে।
সামাজিক যোাগাযোগের মাধ্যমে ভুয়া খবর ঠোকানোর বিষয়টি পুরো বিশ্বের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবার জন্য সচেতনতা সৃষ্টিতে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও সভায় মত দেয়া হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইজেএফ নির্বাহী সদস্য রাহিতুল ইসলাম, প্রথম আলো’র জ্যেষ্ঠ সহ সম্পাদক বাদশা মিন্টু, সদস্য খন্দকার হাসান শাহরিয়ার প্রমুখ।