ঐতিহ্যগত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে স্কুল পরবর্তী সময়ে ই-লার্নিং প্রোগ্রাম চালুর আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের উইন্ডি টাউন হলে অনুষ্ঠিত হলো ‘স্কিলস এবং ফিউচার অব ওয়ার্ক’ বিষয়ক জাতীয় সম্মেলনে শিক্ষায় ই-লার্নিং পদ্ধতির উপর গুরুত্বারোপ করার পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ঐতিহ্যগত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বেরিয়ে এসে স্কুল পরবর্তী সময়ে ই-লার্নিং প্রোগ্রাম চালু করা উচিত। এক্ষেত্রে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কারিকুলামে বিষয়ভিত্তিক ও সময়োপযোগী কারিকুলাম আপডেট করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া উচিত।
পলক বলেন, “আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ উদ্যোক্তা তৈরি করা সম্ভব।”
এজন্য প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, আইওটি, বিগ ডাটা, রোবটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটি’র মতো ইমার্জিং টেকনোলজির উপর গুরুত্বারোপ করার পাশাপাশি মাইক্রোচিপ বা মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনিং নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, “একটি পিরামিড সিস্টেম গড়ে তোলা হচ্ছে যেখানে সবচেয়ে উপরের স্তরে থাকবে উদ্ভাবক, ২য় স্তরে উদ্যোক্তা এবং ৩য় স্তরে ব্যবস্থাপক ও নিয়োগকর্তা কিংবা ইন্ডাস্ট্রি। উদ্ভাবক গড়ে তোলার পাশাপাশি ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে আইডিয়া প্রজেক্ট এবং এটুআই-এর ইনোভেশন ল্যাব (আইল্যাব) কাজ করে যাচ্ছে।”
এসময়ে তথ্য প্রযুক্তি ও ইনোভেশনের ক্ষেত্রে সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এটুআই এবং আইসিটি ডিভিশনের উদ্যোগে ‘সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভোলুশন’ স্থাপন করে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে জেনারেশন আনলিমিটেড (জেন ইউ) ইন বাংলাদেশ এর সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, “২০২১ সালের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীর জন্য ভোকেশনাল কোর্স নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সাথে নিয়ে উদ্যোক্তা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষ শ্রমিকদের প্রবাসে পাঠাতে পারলে দেশের রেমিটেন্স অনেকগুনে বেড়ে যাবে, তাতে দেশের আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল হবে।”