বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে মজুরি বিতরণ এবং নারীর ক্ষমতায়নে বিকাশের প্রভাবের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে সফররত বিশ্ব ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকরা।
এরআগে আশুলিয়ায় নিউএজ গ্রুপের কারখানা পরিদর্শন করেন বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দল। সেখানে তারা বিকাশে বেতন দেওয়ায় পোশাক শ্রমিকদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং কারখানাগুলোর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির খোঁজখবর নেন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) পরিদর্শন শেষে বিশ্ব ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর প্যাট্রিজিও প্যাগানো বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে আমরা ব্যাপক পরিবর্তন দেখেছি। আগে কারখানাগুলো নগদ টাকা বা ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন বিতরণ করত- যা ঝামেলাপূর্ণ এবং সময়সাপেক্ষ ছিল। ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন বিতরণ কর্মী এবং মালিকপক্ষ উভয়ের জন্য লাভজনক। বৃহত্তম ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল সমৃদ্ধ বিকাশে বেতন দিতে কারখানাগুলো আরও গতিশীল, উৎপাদনক্ষম এবং কর্মী বান্ধব হয়ে উঠছে।
এসময় বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর সামগ্রিক পেমেন্ট ডিজিটাইজেশনের ওপরে আলোকপাত করে বলেন, আর্থিক সেবা গ্রহণে এখনও দেশে জেন্ডার বৈষম্য রয়েছে এবং বিকাশের মত সেবাগুলো এ বৈষম্য দূর করতে ভূমিকা রাখছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী শ্রমিক নির্ভর তৈরি পোশাক খাতে ডিজিটাল বেতন বিতরণ নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
নিউএজ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, এ পদ্ধতিতে শ্রমিকদের সুবিধার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক ব্যয় কমে, আর্ন্তজাতিক ক্রেতারা আকৃষ্ট হয় এবং কারখানার উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়।
বর্তমানে ২৮০টি তৈরি পোশাক কারখানার প্রায় সাড়ে তিন লাখ শ্রমিক বিকাশে বেতন পাচ্ছেন।