দেশের সাইবার আকাশকে সুরক্ষিত রাখতে ‘তথ্যপ্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করো, নিরাপদ করো, সুরক্ষিত করো’ প্রত্যয়ে ১৬তম সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস (ক্যাম) পালন করছে সিসিএ ফাউন্ডেশন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি উপলক্ষে তারা অনলাইনে শুরু করেছে #BeCyberSmart হ্যাশট্যাগ আন্দোলন।
একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সাইবার নিরাপত্তার সর্বোৎকৃষ্ট অনুশীলনের মধ্য দিয়ে কিভাবে নিজেকে সাইবার স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে বিষয়ে সচেতনতা গড়তেই এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। রাত নয়টায় ফেসবুক লাইভে (https://www.facebook.com/pageCCA/) ফেসবুক ও অনলাইনে সুরক্ষিত থাকতে একটি লাইভ আড্ডার আয়োজন করেছে।
এছাড়াও জাতীয় সাইবার সুরক্ষার জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের প্রতি ১০ দফা সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাইবার পাঠ অন্তর্ভুক্তকরণ, অফিস-আদালতে দায়িত্বশীল পদে সৎ ও নৈতিক জনবল নিয়োগ নিশ্চিতকরণ, দক্ষ জনশক্তি তৈরি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রশিক্ষিত জনবল বাড়ানো, সাইবার নিরাপত্তার কাজে দেশি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্ব দেয়া, সাইবার নিরাপত্তা কাজে অংশীজনদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব সেবায় দেশীয় প্রযুক্তিকে জনপ্রিয়করণ, প্রবাসী জনশক্তিকে কাজে লাগানো এবং বেসরকারি উদ্যোগে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।
এদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা কিভাবে সাইবার সচেতনতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন সেসব কনটেন্ট (টুলকিট) ইতোমধ্যেই সিসিএ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে (ccabd.org) প্রকাশ করা হয়েছে। সেসব তথ্য সাইবার সচেতনতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সহায়ক হবে। এছাড়াও কোনো প্রতিষ্ঠান সাইবার সচেতনতা বিষয়ক কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করলে এবং সেখানে আলোচকের প্রয়োজন হলে সংগঠনটির সহযোগিতা পাবেন। এজন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ও ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যালায়েন্স (এনসিএসএ)-এর যৌথ নেতৃত্বে সচেতনতা তৈরির এই উদ্যোগে অংশীদার হয়ে ২০১৬ থেকে বাংলাদেশে সাইবার সচেতনতা মাস-অক্টোবর পালন করে আসছে সংগঠনটি।
এ বিষয়ে সিসিএ ফাউন্ডেশন সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ বলেন, সিসিএ ফাউন্ডেশন মনে করে, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প এখন স্বপ্ন নয় বাস্তবতা। যতোই আমরা প্রযুক্তির বহুমুখী ব্যবহারের দিকে অগ্রসর হচ্ছি ততোই সচেতনতার বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। অনলাইনে আমরা ব্যক্তি পর্যায়ে যাই করি তার প্রভাব সমষ্টিগত। তাই নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে ইতিবাচক ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।