নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ১৫ ধরনের ‘ভুল তথ্য’ তুলে ধরে পাশাপাশি সেগুলোর ‘সঠিক ব্যাখ্যা’ তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, “আমরা দেখেছি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন আইডি থেকে যারা অপপ্রচার চালিয়ে এটাকে একটি আন্দোলনে রূপ দেয়ার চেষ্টা করছেন, তারা মূলত কোচিং ব্যবসায়ী। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নোট-গাইড বইয়ের ব্যবসায়ীরা। কারণ, এরা মনে করছেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হলে তারা ব্যবসায় মার খাবেন।”
সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অপপ্রচার প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলেন এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, যেকোনো পরিবর্তনই মেনে নিতে, খাপ খাইয়ে নিতে কষ্ট হয়। আর রূপান্তরকে মেনে নেওয়া আরও কষ্টকর। কিন্তু বুঝতে হবে এই রূপান্তর এগিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্যম্ভাবী। এর কোনো বিকল্প নেই। তাই অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে নিজে যাচাই করা এবং সঠিক তথ্য জানার পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বার্থান্বেষী মহলের ফাঁদে পা দেবেন না।
সম্প্রতি নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেন কিছু অভিভাবক। তারা বিভিন্ন প্রশ্ন তোলেন এই শিক্ষাক্রম নিয়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে দীপু মনি বলেন, “বিদ্যালয়গুলো আমাদের সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তাদের কোনো অভিভাবক সেখানে ছিল না। একটি বিদ্যালয় জানিয়েছে, তাদের কয়েকজন অভিভাবককে ২ হাজার টাকা করে দিয়ে সেখানে আনা হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোন ইস্যু না পেয়ে এটিকে ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক একটি প্রতিপক্ষের এতে ইন্ধন আছে।”
‘নতুন শিক্ষাক্রমে পড়াশোনা নেই’, ‘পরীক্ষা নেই’, ‘শিক্ষার্থীরা কিছু শিখছে না’ – বলে যেসব কথা ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো সঠিক নয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “শিক্ষার্থীরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি পড়বে, নিজেরা সক্রিয়ভাবে পড়বে, শিখবে। দলগত কাজ করে আবার তা নিজেরাই উপস্থাপন করবে, শুধু জ্ঞান নয়, দক্ষতাও অর্জন করবে।
“আর মূল্যায়ন হবে প্রতিটি কাজের। আবার ষান্মাসিক মূল্যায়ন এবং বার্ষিক মূল্যায়নও হবে। কাজেই পরীক্ষা ঠিকই থাকছে, কিন্তু পরীক্ষার ভীতি থাকছে না। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এবং না হওয়া আছে শুধু তাই নয়, পারদর্শিতার ৭টি স্কেলে তাদের রিপোর্ট কার্ডও আছে।”
“প্রতিটি গণিতের ধারণা এখন প্রায়োগিক ক্ষেত্রে বাস্তব পরীক্ষা ও ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা করছে।”