লাল-সবুজ-হলুদ বাতির পর এবার দেশের ট্রাফিক সিস্টেমে যুক্ত হচ্ছে এআই (কৃত্রিমবুদ্ধি মত্তা) রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-২ সিগ্যানাল পয়েন্টে পরীক্ষামূলক ভাবে চলছে এই ‘এআই ক্যামেরা’ এর ব্যবহার। , কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সিগন্যাল মেনটেন্যান্স সরঞ্জাম, সিসি ক্যামেরা, ইমেজ ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা ও অন্য সরঞ্জমাদি দিয়ে এই সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
সূত্রমতে, যানজট কমানো ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে প্রাথমিকভাবে রাজধানীর ১৭টি পয়েন্টে যুক্ত হতে যাচ্ছে সর্বশেষ এই প্রযুক্তিটি। পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের প্রতিটি পয়েন্ট এআই-এর আওতায় আনা হবে। এআই ক্যামেরার তথ্য সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। এভাবেই সব ধরনের গাড়ির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ কররবে ট্রাফিক পুলিশ।
পরীক্ষামূলক ব্যবহারে সিগন্যাল ছাড়ার আগে-পরে কতগুলো গাড়ি ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেছে তা দেখা যাচ্ছে এআই ক্যামেরায়। তথ্য বলছে, গত এক মাসে শুধু এই সিগন্যালে ট্রাফিক আইন ভেঙেছে তিন লাখ গাড়ি। পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে মামলা হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।
গুলশান-২ নম্বর সিগন্যালে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বলছেন, লালবাতি জ্বলা অবস্থায় সাদা দাগ অতিক্রম করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রাফিক মামলা হবে। এতে ট্রাফিক আইন ভাঙার প্রবণতা ৯৯ শতাংশ কমে আসবে। এই আধুনিক ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশের কষ্টও অনেকাংশেই কমে আসবে। লালবাতি জ্বলা মাত্র সবাই সতর্ক হয়ে যাবেন।
গুলশান-২ নম্বর সিগন্যালে সিটি করপোরেশন পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি চালু করার ফলে সিগন্যাল বাতিতে আগে যে টাইমিং সিস্টেম ছিল সেটি এখন আর নেই। পরিবর্তে ইন্টেলিজেন্স ক্যামেরাসহ আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এআই সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছন গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন।
অপরদিকে রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে পরীক্ষামূলকভাবে এই প্রকল্পটি দেখভাল করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মো. সেলিম রেজা। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এআই প্রযুক্তিসম্পন্ন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত হবে বলে জনিয়েছেন তিনি।