মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে খুচরা পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আদায় কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। উৎস ভ্যাটে ফাঁকি ইস্যুতে চুক্তি স্বাক্ষরের আট মাস আটকে ছিলো প্রতিষ্ঠানটি।
মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২-এর ৮৫ ধারা অনুযায়ী আপত্তি নিষ্পত্তি হওয়ায় এখন ভ্যাট সংগ্রহ করতে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) মেশিন বসানোর কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানি সচিব মো. মোস্তাক আহমেদ। সূত্রমতে, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে উৎস ভ্যাটে ফাঁকি দেওয়া ১২ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দেয়ার পর কার্যক্রম শুরুর বাধা মুক্ত হয়েছে এনবিআরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি।
২০২২ সালের ৩ নভেম্বর স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি বিনা মূল্যে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতানে ইএফডি মেশিন বসাবে। প্রতিটি জোনে প্রথম বছরে ন্যূনতম ২০ হাজার ইএফডি-এসডিসি সরবরাহ ও স্থাপন করতে হবে। চুক্তির পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটি জোনে মোট এক লাখ করে তিনটি জোনে পর্যায়ক্রমে তিন লাখ ইএফডি এবং সেলস ডাটা কন্ট্রোলার সরবরাহ ও স্থাপন করতে হবে। বিনিময়ে প্রতি ১০০ টাকা ভ্যাটে ৫২ পয়সা কমিশন হিসেবে পাবে।
ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী সই করা এক চিঠি সূত্রে জানা যায়, ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জেনেক্স ইনফোসিসে অডিট করে বিগত দুই বছরে ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি উদঘাটন করে দাবিনামা জারি করা হয়। এরপর সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওই টাকা জমা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড ২০১৯-এর জুন থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন সেবার বিপরীতে উৎস ভ্যাট বাবদ ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩৯ টাকা ফাঁকি দিয়েছে। যেখানে ৮৬ হাজার ৬৪২ টাকা সুদ প্রযোজ্য হবে। সব মিলিয়ে ১২ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকা ভ্যাট বকেয়া।
আনিত অভিযোগের বিষয়ে কোনো আপত্তি করেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফাঁকিকৃত ভ্যাটের সঙ্গে একমত পোষণ করে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ওই টাকা পরিশোধ করে ঢাকা উত্তর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটকে অবহিত করেছে। যে কারণে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২-এর ৮৫ ধারা অনুযায়ী আপত্তিটি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।