দেশে স্কুল-কলেজ প্রাঙ্গনে ছাত্রদের ফেসবুক ব্যবহার, মোবাইল বা ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলা ও ভিডিও করায় নিষেধাজ্ঞা আসছে। স্কুল বুলিং থেকে শিক্ষার্থীদের নিবৃত করতে ‘স্কুল বুলিং নীতিমালা-২০১৯’ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হবে। তবে এ জন্য কাউকে শারীরিক ভাবে আঘাত করা যাবে না। প্রকাশ্যে হেয় প্রতিপন্নও করা যাবে না। এছাড়াও নীতিমালায় বুলিং প্রতিরোধের উপায় হিসেবে পারিবারিক শিক্ষা, অভিভাবক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের করণীয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর নীলক্ষেতে অবস্থিত বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) সম্মেলন কক্ষে সারাদেশে শতাধিক শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, অভিভাবকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালার মাধ্যমে ‘স্কুল বুলিং নীতিমালা-২০১৯’ নীতিমালাটি চূড়ান্ত হয়েছে।
অবশ্য খসড়া নীতিমালার মৌলিক বিষয়গুলো ঠিক থাকলেও আজকের বৈঠকে কয়েকটি পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করায় আগামী ১০দিন পর নীতিমালাটি চূড়ান্ত রূপ পবে বলে ডিজিবাংলা-কে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত-সচিব জাবেদ আহমেদ।
তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে স্কুলে ফেসবুক ও মোবাইল ব্যবহারে নিষধাজ্ঞার বিষয়ে সকলেই একমত হয়েছেন। তবে এই নীতিমালা বাস্তবায়ন কমিটিতে স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অন্তর্ভূক্ত করা, অভিভাবকদের সংশ্লিষ্টতা বাড়ানো, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং সর্বোপরী বুলিং সঙ্গা-কে আরো সুনির্দিষ্ট ও বিস্তৃত করার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বৈঠকের বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করে নীতিমালাটি চূড়ান্ত করতে আরো ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। আশা করছি, মন্ত্রী মহোদয়ের সম্মতি শেষে খুব শিগগিরি এটি পরিপত্র আকারে জারি করা হবে।
সূত্রমতে, হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় দুই বছর পর নীতিমালাটি চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
নীতিমালায় বুলিং রোধে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, করিডোর, ক্লাসরুমে সিসি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি মনিটরিং করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ শেখানোর দিকে বেশি নজর দিতে হবে। নীতিমালায় বুলিংয়ের ব্যাপারে কঠোর নীতি অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
নীতিমালায় স্কুল চলাকালীন সময় বা শুরুর আগে ও পরে, ক্লাস রুমে, স্কুলের ভেতরে, প্রাঙ্গণে বা স্কুলের বাইরে কোনো শিক্ষার্থী দ্বারা অন্য শিক্ষার্থীকে শারীরিক আঘাত করা বা মানসিক বিপর্যস্ত করা, অশালীন বা অপমানজনক নামে ডাকা, অসৌজন্যমূলক আচরণ করা, কোনো বিশেষ শব্দ বার বার বলে উত্ত্যক্ত বা বিরক্ত করাকে স্কুল বুলিং হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।