ক্রমেই চাপের মুখে পড়ছে ভারতের স্মার্টফোন বাজার। ফলে দেশটিতে এই খাতের কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে পড়ছে। বহু বিক্রয়কেন্দ্রও বন্ধ হয়ে গেছে। খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র থেকে অন্তত আড়াই লাখ কর্মী ছাঁটাই করেছে সেদেশের বেশ কয়েকটি স্মার্টফোন কোম্পানি।
স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর পাশাপাশি ব্যয়সংকোচনের কৌশল হিসেবে কর্মী ছাঁটাই করছে মুনাফামুখী চীনা ব্র্যান্ডগুলো। ফলে আরও বিপুলসংখ্যক বিক্রয় প্রতিনিধি চাকরি হারানোর আশঙ্কায় আছেন।
এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস অ্যাসোসিয়েশন (আইসিইএ) বলছে, চীনা ব্র্যান্ডগুলোর বাজার দখল এবং ই-কমার্সের দ্রুত উত্থানের কারণে হ্যান্ডসেট বাজারের কর্মসংস্থানে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এ খাত থেকে গত দুই বছরে আড়াই লাখের বেশি মানুষ চাকরি হারিয়েছে।
তদের দেয়া তথ্যমতে, ভারতে হ্যান্ডসেটের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় চার লাখ। প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রে সাধারণত তিন থেকে পাঁচজন ব্র্যান্ড প্রতিনিধি থাকেন। গত দুই বছরে মোট কর্মীর যে ১৫ শতাংশ চাকরি হারিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই ব্র্যান্ড প্রতিনিধি। ফলে কয়েক হাজার খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রও বন্ধ হয়ে গেছে।
শুধু তাই নয়, ভারতীয় ও বিদেশী হ্যান্ডসেট কোম্পানিগুলো মুনাফা বাড়াতে ব্যয়সংকোচন নীতি অনুসরণ করছে। মাইক্রোম্যাক্স ও ইনটেক্সের মতো দেশীয় কোম্পানিগুলো উৎপাদন বিভাগের কর্মীও ছাঁটাই করেছে।
এ বিষয়ে আইসিইএর সভাপতি পঙ্কজ মহীন্দ্র বলেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, প্রচুর খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে, দোকানের প্রমোটার পদ বাতিল, এমনকি বিতরণ চেইনেও অনেক দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া হ্যান্ডসেটের বিক্রয় খাত শুধু নয়, উৎপাদন খাতেও কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। ২০-২৫ হাজার কর্মী এ খাত থেকে চাকরি হারিয়েছেন। তবে মূলত বিক্রয় ও বিতরণ খাতেই ছাঁটাই হয়েছে বেশি বলে জানান এই সভাপতি।
প্রসঙ্গত, ভারতে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেকারত্বের হার ছিল ৬ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে আসে। আর হ্যান্ডসেট খাতেও ধস নামে।