সফলভাবেই সম্পন্ন হলো নাসার আর্টেমিস ওয়ান মিশন। চাঁদে মানুষ পাঠানোর আগে আমেরিকান স্পেস এজেন্সিটির কাছে এই মিশন ছিলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর্টেমিস ১ মিশনে নাসা চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করার জন্য ওরিয়ন ক্যাপসুলটিকে পাঠিয়েছিলো। রবিবার, সেই ওরিয়ন ক্যাপসুলই মেক্সিকোর কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে সফলভাবে অবতরণ করেছে।
মহাকাশে প্রায় ২৬ দিন কাটানোর পর পৃথিবীতে ফিরে এসেছে ওরিয়ন। মজাদার বিষয়টি হলো, বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় এর গতি ছিল শব্দের চেয়ে ৩২ গুণ বেশি। যাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন, তাঁদের জেনে রাখা উচিত আর্টেমিস মিশন শুধু নাসার জন্য নয়, মহাকাশ বিজ্ঞানের জন্যও তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওরিয়নের এই সফল অবতরণ নাসার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার মূল কারণটি হলো, ২০২৪ সালে পরবর্তী আর্টেমিস মিশনের বন্দোবস্ত করা। সেই আর্টেমিস ২ মিশনে চাঁদে যাবেন চারজন নভোচারী। এই দলটি অনেক দিক থেকেই উল্লেখযোগ্য হবে। তার কারণ, প্রায় ৫০ বছর পর মানুষ চাঁদের সবচেয়ে কাছে পৌঁছে যাবে। তারপরে আর্টেমিস ৩ মিশনে প্রথম নারী মহাকাশচারী চাঁদে পা রেখে ইতিহাস সৃষ্টি করবেন।
ওরিয়নের অবতরণকে ‘দর্শনীয়’ এবং ‘প্রায় নিখুঁত’ বলে বর্ণনা করেছে নাসা। মার্কিন স্পেস এজেন্সিটির প্রশাসক বিল নেলসন হিউস্টনে মিশন কন্ট্রোলের কাছে বলেছেন, “আমি অভিভূত”। তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, “এটি একটি অসাধারণ দিন, ঐতিহাসিকও বটে। তার কারণ, এখন আমরা নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে চাঁদে পৌঁছে যাওয়ার আশায় বুক বাঁধছি”। তবে নাসার এই চন্দ্র মিশনে কোনও মহাকাশচারী ছিলেন না। এই পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের জন্য মোট খরচ হয়েছিলো প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ডিবিটেক/বিএমটি