গত সোমবারই চাঁদে পৌঁছেছে নাসার ওরিয়ন ক্যাপসুল। তবে সেই সময় আধ ঘণ্টার যোগাযোগ ব্ল্যাকআউট হয়। তার ফলে হিউস্টনের ফ্লাইট কন্ট্রোলাররা বুঝতে পারছিলেন না যে, ক্যাপসুলটি উপস্থিত হওয়ার সময় কোনও ইঞ্জিন ফায়ারিংয়ের মতো ঘটনা ঘটছে কি না। প্রসঙ্গত, ৫০ বছর আগে নাসার অ্যাপোলো প্রোগ্রামের পর এই প্রথমবারের জন্য একটি ক্যাপসুল চাঁদে পৌঁছালো। আর সেই কারণেই গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া ৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি এই কারণেই এত গুরুত্বপূর্ণ।
আগের অ্যাপোলো ১১, ১২ এবং ১৪ এর অবতরণ স্থানগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ওরিয়ন ক্যাপসুলের যাত্রাপথে, যা মানুষের নাগালের প্রথম তিনটি চন্দ্র স্থান। ক্যাপসুলটি ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ১৬ নভেম্বর নাসার সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটের উপরে উঠেছিলো। চাঁদের আড়াল থেকে ক্যাপসুলটি বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গেই তার ক্যামেরাগুলো পৃথিবীতে একটি ছবি পাঠায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবার আর একটি ‘ইঞ্জিন ফায়ারিং’ করা হবে, যাতে এটিকে ঝুঁকে যাওয়া কক্ষপথে রাখা যায়।
পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে ক্যাপসুলটি প্রায় এক সপ্তাহ চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। ১১ ডিসেম্বর এটি প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ক্যাপসুলে কোনও ল্যান্ডার নেই এবং এটি চাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করবে না। এই মিশন সফল হলে ২০২৪ সালে চাঁদের চারপাশে নভোচারী পাঠানোর মিশনটি সম্পাদন করবে নাসা। তারপরে ২০২৫ সালে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি যান অবতরণের চেষ্টা করবে স্পেস স্টেশনটি।
পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার কিলোমিটার। নাসার লক্ষ্য, মানুষকে আবার চাঁদে নিয়ে যাওয়া। এর জন্য আর্টেমিস মিশন চালানো হচ্ছে। এই মিশনের আওতায় প্রথম নারী ও প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করা হবে। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে চাঁদে অনুসন্ধান করা হবে। এরপরে নাসার চাঁদ থেকে মঙ্গল গ্রহে প্রথম নভোচারী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে।
ডিবিটেক/বিএমটি