যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট পুনর্বহাল হয়েছে। দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার অভিযোগে টুইটারে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ‘গণতান্ত্রিক’ উপায়ে অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্কের।
এরপর ট্রাম্পের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক মিত্র তার ফিরে আসাকে স্বাগত জানান। হাউস রিপাবলিকান পল গোসার টুইটে ট্রাম্পকে স্বাগত জানান।
ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য ফিরতে আগ্রহী নন। তিনি জানিয়েছেন, টুইটারে ফেরার কোনো কারণ তিনি দেখছেন না।
এর আগে ট্রাম্পকে টুইটারে ফেরানো উচিত কি না, সেই প্রশ্ন রেখে একটি জরিপের ব্যবস্থা করেছিলেন মাস্ক। আর দেড় কোটি টুইটার ব্যবহারকারীর মধ্যে সেই ‘ভোটে’ ৫১.৮ শতাংশ সমর্থন পেয়ে ‘জিতে গেছেন’ ট্রাম্প। টুইটারের দৈনিক ২৩ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর মধ্যে ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষ ভোট দেন।
টুইটারে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার রায় জানিয়ে মাস্ক টুইট করে বলেছেন, “জনগণ তাদের মত দিয়েছে। ট্রাম্প আবার ফিরবেন।”
বিশ্বের শীর্ষ ধনী মাস্কের টুইট শেষ হয়েছে এক লাতিন বাক্যে: “ভক্স পপুলি ভক্স দেই”। এর অর্থ দাঁড়ায়,‘জনগণের কণ্ঠস্বর ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর।’
অ্যাকাউন্ট বাতিল করার সময় ট্রাম্পের টুইটার ব্যবহারকারী ছিল ৮ কোটি ৮০ লাখের বেশি। নিজেকে ‘বাক স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় সমর্থক’ দাবি করা মাস্ক গত মে মাসেই ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
ট্রাম্প তখনও বলেছিলেন, আপাতত তিনি টুইটারে ফিরছেন না; বরং নিজের বানানো ‘ট্রুথ সোশাল’ নিয়েই তিনি বেশি আগ্রহী।
গত শুক্রবার মাস্ক কেবল ট্রাম্প নন কমেডিয়ান ক্যাথি গ্রিফিনের টুইটার অ্যাকাউন্টও পুনর্বহাল করার পরিকল্পনা জানান।
বেশি সময় ধরে কাজ করার জন্য মাস্কের দেওয়া শর্তে রাজি না হওয়ায় গত শুক্রবার কয়েক শ কর্মী টুইটার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর টুইটারের বেশ কয়েকটি কার্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। আগামীকাল সোমবার এগুলো খুলতে পারে। কর্মীদের কাছে এখন ভিলেন বনে গেলেও ইলন মাস্ককে নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি তাকে পছন্দ করি, আপনারা জানেন, মাস্ক একধরনের চরিত্র, আমি বিভিন্ন চরিত্র পছন্দ করি।’