বাতিলের প্রচেষ্টা থেকে সরে এসে এবার টুইটার কেনা চুক্তিটি পুনর্বহাল করছেন শতকোটিপতি ইলন মাস্ক। ত এপ্রিলে সই হওয়া ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি আবারও সক্রিয় করেছেন তিনি। আদালতে বিচারের মুখোমুখি হওয়া এড়াতেই এই ইউটার্ন বলে মন্তব্য বিশ্লেষকদের।
যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গের খবরে প্রকাশ, গত সোমবার (৩ অক্টোবর) টুইটারকে দেওয়া এক চিঠিতে এই প্রস্তাব দিয়েছেন ইলন মাস্ক। এ খবর প্রকাশ হতেই নিউইয়র্কে টুইটারের শেয়ারের দর ২২ শতাংশ বেড়ে ৫২ ডলারে পৌঁছায়।
সান ফ্রান্সিসকো-ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিটি বলেছে, তারা ইলন মাস্কের চিঠি পেয়েছে। এ বিষয়ে তাকে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি টুইটার। শুধু বলেছে, সর্বসম্মত মূল্যেই চুক্তিটি সম্পন্ন করতে চায় তারা।
গত এপ্রিলে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট টুইটার কিনতে চুক্তি করেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। তবে এরপর থেকেই যেন তার আগ্রহ কমতে থাকে। প্রকাশ্যে তিনি টুইটার কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন, এর প্রকৃত মূল্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এবং শেষপর্যন্ত মত পরিবর্তন করে চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেন।
Buying Twitter is an accelerant to creating X, the everything app
— Elon Musk (@elonmusk) October 4, 2022
ইলন মাস্ক গত জুলাই মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ক্রয় প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বাধ্য করার জন্য ডেলাওয়্যার চ্যান্সারি আদালতে তার নামে মামলা করে টুইটার কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৭ অক্টোবর এর শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ডেলাওয়্যারের বিচারক মামলাটি এখন কীভাবে এগোবে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব নিয়ে যেতে উভয়পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর সম্ভাব্য সমাধানগুলো হচ্ছে- টুইটার কর্তৃপক্ষ মামলাটি খারিজ করবে অথবা চুক্তি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিচারকের এখতিয়ার বজায় থাকবে।
তবে ইলন মাস্ক চুক্তি পুনর্বহালের ঘোষণা দেওয়ার ফলে তিনি টুইটারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছিলেন, আদালতে সেগুলোর বিষয়ে সম্ভবত আর কোনো কথা হবে না। মাস্কের অন্যতম প্রধান অভিযোগ ছিল, প্রকৃত ব্যবহারকারীর সংখ্যা নিয়ে তাকে ভুল তথ্য দিয়েছে টুইটার।
মাস্ক বলেছেন, তিনি চার টুইটার টিকটক বা উইচ্যাটের মতো হবে, কেবল এর গ্রাহক থাকবে অনেক বেশি। এছাড়া বাণিজ্যিক ও সরকারি ব্যবহারকারীদের জন্য টুইটার ব্যবহারে অর্থ খরচ করতে হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
মাস্ক জানিয়েছিলেন, টুইটার অধিগ্রহণের পর এর ফিচারে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে অ্যালগরিদমে পরিবর্তন আনার কথাও জানান তিনি।