আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর তৃতীয়বারের মতো আর্টেমিস ওয়ান উৎক্ষেপণের চেষ্টা করবে আমেরিকার জাতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। বিকল্প দিন হিসেবে ২ অক্টোবরের কথাও ভেবে রেখেছে সংস্থাটি।
নাসার দেওয়া তথ্য বলছে, ২৭ সেপ্টেম্বর আর্টেমিস ওয়ান উৎক্ষেপণের জন্য ৭০ মিনিটের ‘লঞ্চ উইন্ডো’ পাবে সংস্থাটি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং নতুন কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা না দিলে আর্টেমিস ওয়ান চাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবে ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৩৭মিনিট নাগাদ।
প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট ভার্জ এর খবরে বলা হয়েছে, নাসা প্রথমে ২৩ সেপ্টেম্বর আর্টেমস ওয়ান মিশনের ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (এসএলএস)’ রকেট উৎক্ষেপণের কথা ভাবলেও মিশনের নানা আনুসাঙ্গিক রসদ সরবরাহ বিবেচনায় নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বরকে বেছে নিয়েছে। মিশনের অংশ হিসেবে এসএলএস রকেটের মাধ্যমে ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফটে চাঁদের দিকে পাঠানোর পরিকল্পনা করে রেখেছে নাসা। চাঁদকে ঘিরে চক্কর দিয়ে পৃথিবীতে ফিরবে স্পেসক্র্যাফটটি। পুরো মিশনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে, নতুন এসএলএস রকেট এবং ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফট কতোটা নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই তা যাচাই করা। এবার জ্বালারীর সরবরাহ নিয়ে সম্ভাব্য জটিলতা এড়াতে ২১ সেপ্টেম্বর থেকেই পুরো সিস্টেম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন নাসার প্রকৌশলীরা।
কেবল পাঁচ দশক পরে চাঁদের ফেরার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই নয়, মহাকাশ নিয়ে নাসার ভবিষ্যৎ উচ্চাকাঙ্খার বাজির ঘোড়া হচ্ছে এসএলএস রকেট আর ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফট। আর্টেমিস প্রকল্পের শেষ লক্ষ্য মানব নভোচারীদের রেড প্ল্যানেট মঙ্গলে নেওয়ার পথ সুগম করা।
লক্ষ্য পূরণে এসএলএস রকেটে চড়ে ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফটের মহাকাশে যাওয়ার কথা ছিল ২৯ অগাস্ট। কিন্তু শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে সে উদ্যোগ। তরল জ্বালানীর ট্যাংকে ফাঁটল দেখা দেওয়ায় এবং রকেটের ইঞ্জিনের তাপমাত্রা কাঙ্খিত পর্যায়ে নামিয়ে আনতে না পারায় সেদিন লঞ্চ বাতিল করে নাসা।
এরপর ৩ সেপ্টেম্বর আবার চেষ্টা করে সংস্থাটি। সেদিন সরবরাহ লাইনের সংযোগ স্থলে ত্রুটির কারণে বেরিয়ে যাচ্ছিল তরল হাইড্রোজেন। টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন নাসার প্রকৌশলীরা; আবারও আর্টেমিস ওয়ান উৎক্ষেপণ বাতিল করতে বাধ্য হয় নাসা।