এক বছরে তিন মাসের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনায় পড়লো কানাডার সবচেয়ে বড় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রজার কমিউনিকেশনস। হঠাৎ করেই শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটার দিকে বিঘ্নতায় পড়ে দেশটির ইন্টারনেট সেবা। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কানাডার জরুরি হটলাইন, ব্যাংকের এটিএম সেবাসহ আদালতের বিচারিক কার্যক্রম। ভোগান্তিতে পরেন এই প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ১০ লাখ গ্রাহক।
সিবিসি নিউজের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, গ্রিনিচ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার কে ওই কোম্পানির ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ৭৫ শতাংশ কমে যায় ইন্টারনেট ট্রাফিক। ইন্টারনেট অচল থাকায় কাজে বিঘ্ন ঘটছে পাসপোর্ট অফিস, আদালত এবং যাতায়াতের টিকেট কেনায়।
টরোন্টোর পুলিশ বিভাগ এক টুইটে জানিয়েছে, মোবাইল ব্যবহারকারীদের অনেকেই ফোন করে জরুরি সেবা নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন।
অটোয়া পুলিশও টুইট করে বলছে, সংযোগ পেতে ব্যর্থ হলে আবারও চেষ্টা করতে হবে। অথবা কোনো ল্যান্ডলাইন বা অন্য কোনো মোবাইল অপারেটর থেকে ফোন করতে হবে।
টরন্টোতে হাসপাতাল পরিচালনা করে স্কারবরো হেলথ নেটওয়ার্ক। তাদের অন-কল মেডিকেল কর্মীদের ইন্টারনেট সচল না হওয়া পর্যন্ত কর্মক্ষেত্রে এসে কাজ করতে বলা হয়েছে।
কিবেক প্রদেশে ফ্যাশন মুঘল পিটার নাইগ্রাদের মামলার শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে মনট্রিয়ালের আদালত। এর কারণ হিসেবে নেটওয়ার্ক বিঘ্নতার কারণে কোনোভাবেই ভিডিও কনফারেন্সে পিটার নাইগ্রাদের অনলাইন হাজিরা নিশ্চিত করতে পারছিল না বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
শহর এলাকায় লোকজন রেস্তোরাঁ কিংবা এমন জায়গায় ছুটে যাচ্ছেন, যেখানে ওয়াই-ফাই কাজ করছে। সেখান থেকে একজন স্টারবাকস গ্রাহক রয়টার্সকে বলেছেন, “এখানে শত শত মানুষ ল্যাপটপ নিয়ে হাজির হয়েছে তাদের জরুরি কাজ সারার জন্য। অনেকের বাড়িতে ইন্টারনেট একেবারেই কাজ করছে না।”