১৪ বছর চাকরির পর পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর কোম্পানির তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন মেটার দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ। গত কয়েক বছরের কার্যক্রম নিয়ে এই তদন্ত করছেন মেটার আইনজীবিরা। পদে থাকাকালীন স্যান্ডবার্গ নিজস্ব কার্যক্রমে মেটার কোনো সুবিধার অপব্যবহার করেছেন কি না,তা খতিয়ে দেখছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে মার্কিন দৈনিক ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ জানিয়েছে, শেরিল স্যান্ডবার্গ বিষয়ে এরইমধ্যে নিজেদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মেটা।
অবশ্য শুক্রবার প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে গত শরৎ থেকেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলার কথা উল্লেখ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। ওই প্রতিবেদনের বরাদ দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছেন, শেরিল স্যান্ডবার্গ বিষয়ে এরইমধ্যে নিজেদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মেটা। গত শরৎ থেকেই তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
‘স্যান্ডবার্গ ফাউন্ডেশন’-এর জন্য মেটা কর্মীদের কার্যক্রম, স্যান্ডবার্গের প্রথম বই ‘লিন ইন’ এবং দ্বিতীয় বই ‘অপশন বি: ফেইসিং অ্যাডভার্সিটি, বিল্ডিং, রিসিলিয়েন্স অ্যান্ড জয়’-এর লেখা এবং প্রচারণার মতো বিষয়গুলো তদন্তে যাচাই করা কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে।
তবে এ প্রসঙ্গে রয়টার্স মেটা এবং স্যান্ডবার্গে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য বা উত্তর দিতে রজি হননি।
গত ২ জুন ‘সিওও’ পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন স্যান্ডবার্গ। তিনিযখন ফেসবুকে যোগ দেন, তখনও বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক মাধ্যম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেনি ফেসবুক। সেই সময়ে ফেসবুকের বর্তমান সিইও মার্ক জাকারবার্গ ছিলেন ২৩ বছর বয়সী হার্ভার্ড ত্যাগী এক প্রযুক্তি উদ্যোক্তা।
জাকারবার্গ অবশ্য বলেছেন, স্যান্ডবার্গের পদের সরাসরি বদলি হিসেবে কোম্পানির বিদ্যমান কাউকে দেওয়ার পরিকল্পনা নেই তার। অন্যদিকে, পদ ছাড়লেও মেটার পরিচালনা পর্ষদে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন স্যান্ডবার্গ। আর স্যান্ডবার্গের পদে আসছেন মেটার বর্তমান ‘চিফ গ্রোথ অফিসার’ হাভিয়ের অলিভান।