পুঁজি বাজারে তালিকাভূক্তির প্রথম প্রান্তিকেই শত কোটি ডলার লোকসান করেছে বিশ্বের বৃহত্তম রাইড শেয়ারিং কোম্পানি উবার টেকনোলজি ইনকরপোরেশন। অবশ্য প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি প্রান্তিকেই লোকসান গুনে আসছে কোম্পানিটি। তারপরও সদস্য বিদায়ী মে মাসে আইপিও ছাড়ার পর কোম্পানির আয় ২০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে আশা করছে উবার।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) উবারের বছরের প্রথম প্রান্তির আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের ঘণ্টা খানেক পরেই পুঁজি বাজারে কোম্পানির শেয়ার মূল্য এক শতাংশ কমেছে।
মার্কিন শেয়ারবাজারে ৪৫ ডলারে আইপিও ছাড়ার কয়েক ঘণ্টায় কোম্পানিটির শেয়ারের বিক্রি কিছুটা বাড়লেও পরে ধীরে ধীরে বিক্রি কমতে থাকে। দিন শেষে শেয়ার প্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৯.৬০ ডলার।
প্রতিবেদনে উবার জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতি মাসে ৯ কোটি ৩০ লাখ সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে তাদের। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা ৩৩ শতাংশ বেশি।
পাবলিক কোম্পানি হওয়ার পর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির আয় দাঁড়িয়েছে ৩১০ কোটি ডলার। আয় ২০ শতাংশ বাড়লেও পূর্ববর্তী প্রান্তিকে কোম্পানির বার্ষিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে তা ২৫ শতাংশ কম।
রাইড শেয়ারিং কোম্পানি হিসেবে ‘উবার ইটস’ ও ‘উবার ফ্রাইট’-এর মতো ব্যবসায়িক খাতগুলোতে বিপুল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এমন লোকসানের মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
বিশ্লেষক আলিসা আল্টম্যান জানিয়েছেন, ধারাবাহিকভাবে উবারের ব্যবসা বাড়ছে। উবার যে রাইড শেয়ারিংয়ের বাজারে প্রাধান্য বিস্তার করছে, তা হয়তো অজানা নয়। তবে কোম্পানিটির সাফল্য দৃঢ় কিছু নয়।
উবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দারা খসরুশাহি জানিয়েছেন, আমরা মে মাসের শুরুতে পাবলিক কোম্পানি হওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি। স্থানীয় পরিবহন ও বাণিজ্যের জন্য আমরা ওয়ান স্টপ শপ করার পরিকল্পনার দিকে অধিক মনোযোগী হয়েছি। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে আমাদের প্লাটফরমগুলোতে কর্মতত্পরতা ছিল যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। এ সময়ে প্রতিদিন গড়ে আমাদের রাইডিং কল ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ।
প্রসঙ্গত, প্রথমবারের মতো ১০ মে উবার নিজেদের আইপিও বাজারে ছাড়ে। কিন্তু এক্ষেত্রেও তারা প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। বরং তাদের শেয়ার বিক্রির হার ছিল খুবই কম। উবার কর্তৃপক্ষ শেয়ারবাজারের দুর্বল পারফরম্যান্সের কথা উল্লেখ করে আগামী প্রান্তিকেও লোকসানের ইঙ্গিত দিয়েছে।