গুগল ‘বেআইনী কনটেন্ট’ প্রচার করছে এমন অভিযোগ তুলে ওই কনটেন্টগুলো মুছে না ফেললে গুগলের ইন্টারনেট গতি কমিয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে রাশিয়ার মিডিয়া নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। দেশটির ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা রসকোমনাদজর গুগলকে মাদক, সহিংসতা এবং চরমপন্থার সাথে সম্পর্কিত ভিডিও ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে সময় দিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এই আল্টিমেটাম কার্যকর হবে।
পাশাপাশি, ওইসব কনটেন্টের জন্য ইউটিউবের মালিকানা প্রতিষ্ঠান গুগলকে আট লাখ থেকে ৪০ লাখ রুবল (বা ১১ হাজার থেকে – ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হতে পারে। আগামী ১৪ জুলাই শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য গুগলের সঙ্গে যোগাযোগে কোনো সাড়া মেলেনি।
রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, রসকোমনাদজর গুগলকে ২৬ হাজারেরও বেশি নোটিশ পাঠিয়েছে যেন তারা “অবৈধ তথ্য” সরিয়ে ফেলে। গুগলের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে ‘আরটি’ এবং ‘স্পুটনিক’সহ রাশিয়ার প্রচার মাধ্যমগুলোর ইউটিউব অ্যাক্সেস সীমাবদ্ধ করা এবং “অবৈধ প্রতিবাদ কার্যক্রম” সমর্থন করার অভিযোগও রয়েছে।
ইন্টারনেট ট্রাফিক
গুগল যদি কথা না শোনে, তাহলে গুগল অ্যাক্সেস করার ক্ষেত্রে রাশিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারনেটের গতিও কমিয়ে দেওয়া হতে পারে। রসকোমনাদজরের ওই হুমকি ফেলে দেওয়ার মতো নয়। সংস্থাটি এরই মধ্যে প্রায় ৩,০০০ পোস্ট অপসারণ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে মার্চ মাসেই টুইটারের ওপর এই ক্ষমতা ব্যবহার করেছে। রাশিয়ার ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো ওয়েবসাইটে ডেটা প্রবাহ সীমিত বা ব্লক করতে পারে, এমনকি কোনো নির্দিষ্ট পৃষ্ঠা অ্যাক্সেস করার সময়ও ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিতে পারে।
মামলায় ইউটিউব
রয়টার্সের নজরে আসা আদালতের নথি অনুযায়ী, গুগল বর্তমানে রসকোমনাদজোরের বিরুদ্ধে বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি নিয়ে মামলা করছে। মোট ১২টি ইউটিউব ভিডিও নিয়ে মামলা করেছে ইউটিউব যার মধ্যে কারাগারে বন্দী ক্রেমলিন সমালোচক আলেক্সি নাভালনির সমর্থনে জানুয়ারিতে শিশুদের বেআইনী বিক্ষোভে যোগ দিতে উৎসাহিত করার ভিডিও রয়েছে। মি. নাভালনির ইউটিউব চ্যানেলে ৬৫ লাখেরও বেশি গ্রাহক রয়েছে এবং তিনি প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করেন এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং রুশ সরকারের সমালোচনা করেন।