এবার টুইটার এবং ফেসবুকের মত শক্তিশালী সামাজিক মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার ওপর জোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান।
এ জন্য একটি আন্তর্জাতেক আইন তৈরির ওপরেও গুরুত্বারোপ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। একইসঙ্গে ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে একটি ডিজিটাল রোডম্যাপ গড়ে তুলতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন আন্তোনিও গুতেরেস।
তার ভাষায়, সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এমন কোন কোম্পানি হওয়া উচিত নয়, যার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে। এই যেমন- তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার একাউন্ট বন্ধ করা উচিত কিনা সেই সিদ্ধান্ত তারা কেন নেবে? বরং এমন একটি পদ্ধতি তৈরি করা উচিত যেখানে আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামো থাকবে।
গুতারেস বলেন, আমার মনে হয়, কম সংখ্যক কোম্পানিকে যদি অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়, তেমন একটা বিশ্বে আমরা বাস করতে পারি না।
সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির ক্ষমতা নিয়ে তিনি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন বলেও জানান গুতেরেস।
আমাদের প্রত্যেকের সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো সংগৃহীত তথ্যের ভলিউমের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণের অভাব রয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের কারণেই আমাদের একান্ত তথ্যগুলো শুধুমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বিজ্ঞাপন কোম্পানির কাছে বিক্রি করার এবং ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমাদের আচরণ পরিবর্তন করা দরকার। এছাড়াও দেশের নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এসব তথ্য ব্যবহারের ঝুঁকিও সৃষ্টি হয়েছে।
আর এই ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করতেই গত জুনে ডিজিটাল সহযোগিতার রোডম্যাপ চালু করার হয়েছে জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিক বলেছেন, রোডম্যাপের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি নিরাপদ, আরো ন্যায্য ডিজিটাল বিশ্বকে সবার সামনে তুলে ধরা।
এতে ২০৩০ সালের মধ্যে ইন্টারনেটের সাথে সার্বজনীন সংযোগ অর্জন, ডিজিটাল পরিবেশে আস্থা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল সহযোগিতার জন্য আরো কার্যকর স্থাপত্য নির্মাণসহ আটটি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।