গত সপ্তাহের সাইবার হামলার ঘটনায় মুক্তিপণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। একইসঙ্গে হ্যাকারদের পরিচয় এখনো পরিস্কার করেনি এবং দাবীর অংক কত তাও জানায়নি ক্লাবটি।
তবে এ হামলায় ইউনাটেড তাদের সিস্টেম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। এই হামলার ফলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের ক্লাব তাদের কম্পিউটার সিস্টেম পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে পারেনি এবং বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কর্মীরা তাদের ইমেইল একাউন্টে প্রবেশ করতে পারেনি।
এমন পরিস্থিতিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে সাহায্য করছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি)।
এনসিএসসি’র একজন মুখপাত্র সিএনএনকে বলেছেন, “আমরা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের উপর প্রভাব বিস্তারকারী একটি ঘটনা সম্পর্কে সচেতন এবং এর জবাবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অংশীদারদের সাথে কাজ করছি।”
ইউনাইটেড শুক্রবার বলেছে, তারা একটি “অত্যাধুনিক” হামলার শিকার হয়েছে, এবং বিষয়টি এখনো বিঘ্নসৃষ্টি করছে। তবে এখনো সিস্টেমের নিয়ন্ত্রণ হামলাকারীদের কাছে আছে এমন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
বৃটেনের শীর্ষ ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল জানিয়েছে, হ্যাকাররা “মিলিয়ন পাউন্ড” দাবি করেছে। সাইবার আক্রমন ঠেকাতে ইউনাইটেড বিশেষ টেকনিক্যাল টিম গঠন করেছে। বর্তমানে ক্লাবটি পণ শোধ না করলে অনেক সেনসিটিভ তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশিত হওয়ার আশংকা করছে।
সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে যে, বৃটেনের ৭০% ক্লাব বা সংস্থা গত বছর সাইবার হামলার শিকার হয়েছে।
এর মধ্যে চার মহিলা ক্রীড়াবিদের আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে।
মাঝারি মানের একটি ক্লাব থেকে গতবছর ৬ মিলিয়ন ডলার দাবী করা হয়, আরেকটি সংস্থা ইতিমধ্যে ৫ মিলিয়ন ডলার শোধ করেছে বলে জানা গেছে।
দেশের জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার ক্লাবটিকে সমস্যা থেকে উত্তরনে সহায়তা করছে বলে জানা গেছে।
বৃটিশ আইন অনুযায়ী যদি কোনভাবে ক্লাবের কোন খেলোয়াড়, স্টাফ কিংবা সমথ’কের কোন ব্যক্তিগত তথ্য যদি পাব্লিক হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তাদের ১০-২০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা গুনতে হবে।