প্রায় একমাস চীন লকডাউন থাকার পর তাদের অর্থনীতি পুনরায় চালু হয়েছে। ফলে অ্যাপলের আইফোন কারখানাও পুরোপুরিভাবে চালু করা হয়েছে। তবে যেহেতু বিশ্বব্যাপী এখনও করোনাভাইরাসের বিস্তার বেড়েই চলেছে তাই গ্রাহকরা এখন আইফোনে কতোটা আগ্রহী সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খবর রয়টার্স।
অ্যাপলের একটি বড় সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছে, আগের বছরের তুলনায় মার্চে শেষ হতে যাওয়া প্রান্তিকে অ্যাপলের কার্যাদেশ ১৮ শতাংশ কমেছে। এছাড়া পরবর্তী প্রজন্মের ফাইভজি নেটওয়ার্ক সম্বলিত আইফোন তৈরিও স্থগিত করা হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে ফাইভজি ফোনটি উন্মোচন হবে কিনা সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
চীনে এখন আর কেউ জনবল বা উপকরণের অভাবের কথা বলছে না। কথা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে চাহিদা আছে কিনা। এখন কোম্পানিগুলো ঐ দেশগুলোর চাহিদার উপরে নির্ভর করছে।
অ্যাপলের অন্যতম ডিসপ্লে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানও একই কথা বলছে। এই বছরে ৭০ মিলিয়ন আইফোন ডিসপ্লে সরবরাহ করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলেও এখন সেটি ১৭ শতাংশ কমে ৫৮ মিলিয়ন ইউনিটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে কোম্পানিটি তাদের জনবল কমানোর কথাও ভাবছে।
এ বিষয়ে অ্যাপলের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ডিবিটেক/বিএমটি