দিন দিন শিশুদের জীবনের কর্তৃত্ব কেড়ে নিচ্ছে মুঠোফোন। ফলে ১১ বছর বয়সের মধ্যেই বিশ্বের প্রায় সব শিশু মুঠোফোনের মালিক হয়ে যায়। আর এর ফলে স্ন্যাপচ্যাট, হোয়াটস অ্যাপ, টিকটক, ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল সাইটগুলো আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলছে শিশুদের শৈশব।
এসব মিডিয়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট সময় কাটায় তারা।
যুক্তরাজ্যে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের জীবনে মুঠোফোনের ব্যবহার নিয়ে করা জরিপে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ২ হাজার ২০০ জন শিশু-কিশোরের ওপর পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ মুঠোফোন বিছানার পাশে রেখে ঘুমায়। এর মধ্যে আবার ফোন কাছে না থাকলে অস্বস্তিতে ভোগে ৪৪ শতাংশ। আর ৪২ শতাংশ কখনোই ফোন বন্ধ রাখে না। এদের মধ্যে মাত্র পাঁচজন টেলিভিশনে অনুষ্ঠান দেখতে পছন্দ করে। বাকীরা মত্ত থাকে ইউটিউব, নেটফ্লিক্স-এ। নেটফ্লিক্সে তাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছে ফ্রেন্ডস, রিভারডেল, ব্রুকলিন নাইন-নাইন ও স্ট্র্যাঞ্জার থিংস।
অন্যদিকে প্রতিদিন ৬১ শতাংশ শিশু ইউটিউবে সময় কাটায়। শুধু ভিডিও দেখে এমন নয়। নিজের চ্যানেল তৈরি করে। তার জন্য ভিডিও বানায়।
এ বিষয়ে গবেষক সাইমন ল্যাগেট বলেন, শিশুদের জীবনের কর্তৃত্ব অনেকটা মুঠোফোন নিয়ে নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, যখন হাতের কাছেই ফোনটি থাকে তখন এর ব্যবহারের উপর বাবা মায়ের নজরদারি করা বেশ কষ্টসাধ্য। কেননা শিশু অনলাইনে কী দেখছে বা শিখছে তা পর্যবেক্ষণ করা একটি চ্যালেঞ্জ। কারণ এটি এমন একটি ব্যক্তিগত প্রযুক্তি যা লুকিয়ে ব্যবহার করা বা তথ্য মুছে ফেলা আহামরি কঠিন কিছু না।