বিনামূল্যে সুরাক্ষা দেয়ার কথা বলে গোপনে ব্যবহারকারীরে ব্রাউজারের তথ্য সংগ্রহ করে তা মাইক্রোসফট, গুগলের মতো তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করছে জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাস অ্যাভাস্ট! তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর এরপর থেকে ব্রাউজারের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের চর্চা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অ্যাভাস্টের বৈশ্বিক প্রধান নির্বাহী অন্দ্রেজ ভাইসেক।
এন্টিভাইরাসটির এই অনৈতিক কাজের খবর প্রকাশ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট মাদারবোর্ড ও পিসি ম্যাগ। পত্রিকা দুটি জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে উইন্ডোজ, ম্যাক ও মোবাইল ফোন মিলিয়ে ৪৩ কোটি ৫০ লাখ ডিভাইসে অ্যাভাস্ট ইনস্টল করা রয়েছে। ব্রাউজার প্লাগইন ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের পর তা বিক্রি করছে।
জানাগেছে, যেসব ডিভাইসে অ্যাভাস্ট ইনস্টল করা থাকে, সেখান থেকে ব্রাউজার হিস্টোরি সংগ্রহ করে অ্যাভাস্ট। এরপর সেসব তথ্য কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পণ্য উপযোগী করে জাম্পশট বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে। এ তথ্য ইয়েলপ, গুগল, মাইক্রোসফট, ম্যাকিনসে, স্যাফোরার মতো বড় বড় কোম্পানি কিনে নেয়।
তবে তদন্তের সময় অ্যাভাস্টের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান জাম্পশটের কাছেও স্পর্শকাতর তথ্য পাওয়া যায়। এখন তাদের কাছেও তথ্য দেওয়া বন্ধ করেছে অ্যাভাস্ট।
তদন্তে দেখা গেছে, গত বছর তথ্য পেতে একটি প্রতিষ্ঠান জাম্পশটকে ২০ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। এ ছাড়া যারা পরিচয় গোপন করে পর্নো সাইটে যান, তাঁদেরও ট্র্যাক করে রাখার পর সেসব তথ্যও বেশি দামে বিক্রি করা হয়। ব্রাউজার থেকে তথ্য সংগ্রহ বন্ধের কথা বলা হলেও এখন অ্যান্টিভাইরাসের মাধ্যমেই সরাসরি তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে।
তবে অ্যাভাস্টের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অ্যাভাস্টের বৈশ্বিক প্রধান নির্বাহী অন্দ্রেজ ভাইসেক জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ব্রাউজার স্টোরের মান অনুযায়ী তারা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। শুধু নিরাপত্তা ইঞ্জিনের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্রাউজার এক্সটেনশন থেকে তথ্য সংগ্রহ করা বন্ধ হয়েছে।
ভাইসেক দাবি করেন, জাম্পশট কোনো ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ই–মেইল, নাম বা কন্টাক্টের বিস্তারিত জানতে পারে না। তা ছাড়া ব্যবহারকারী এখন চাইলে তথ্য শেয়ার করার বিষয়টি বন্ধ করে দিতে পারেন।