বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম গত ২ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে কেনাবেচা কমার ফলেই গত শুক্রবার বিটকয়েনের দরপতন হয়। খবর রয়টার্স।
আগের দিনও (বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট) ভার্চুয়াল মুদ্রাটি বড় দর হারিয়েছিল। যে হার ছিলো ৭ দশমিক ২ শতাংশ। দৈনিক ভিত্তিতে ২০২২ সালের নভেম্বরের পর যা সর্বোচ্চ পতন।
এদিন প্রতি বিটকয়েনের মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ২৬ হাজার ১৭২ ডলারে। গত ১৬ জুনের পর যা সবচেয়ে কম।
বিশ্ববাজারে নানা গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের বিক্রিবাট্টা ব্যাপক নিম্নমুখী হয়েছে। ওয়াল স্ট্রিটের প্রধান সূচক নিম্নগামী হয়ে আগের কার্যদিবস শেষ করে।
একই সঙ্গে এশীয় অঞ্চলে টানা ৩ সপ্তাহ মন্দা নিয়ে শেয়ারবাজার কর্মদিবস সম্পন্ন করে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ চীনের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ রয়ে গেছে। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে সুদের হার বাড়িয়ে যেতে পারে ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। কারণ, দেশটির অর্থনীতি মন্থর রয়েছে।
আলোচ্য দিনে অনলাইন মুদ্রাবাজারের অন্যতম সর্ববৃহৎ কারেন্সি ইথারের দর অপরিবর্তিত আছে। প্রতিটির দাম স্থির হয়েছে ১ হাজার ৬৮৫ ডলার ২০ সেন্টে।
ক্রিপ্টোর দর কমে যাওয়ার জন্য এলন মাস্কের স্পেসএক্সকে দায়ী করেছেন কিছু বিশ্লেষক। ইতোমধ্যে নিজেদের কাছে মজুত থাকা অসংখ্য বিটকয়েন বিক্রি করেছে তারা। কারণ, মুদ্রাগুলোর মোট মূল্য ৩৭৩ মিলিয়ন ডলার কমেছে।
বিশ্বে ক্রিপ্টো পৃষ্ঠপোষকদের অন্যতম ইলন মাস্ক। মূলত তার টুইটের পর থেকে বিটকয়েনের দাম কমছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।
বিশ্ববিখ্যাত আথিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইতোরোর বৈশ্বিক বাজার কৌশলবিদ বেন লেইদলার বলেন, বিটকয়েনের বিক্রি কমার জন্য স্পেসএক্স রিপোর্ট তাৎক্ষণিক অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।
তিনি বলেন, এতে দেখা যায় বিটকয়েনও স্পর্শকাতর বা সংবেদনশীল সম্পদ। অন্যান্য সম্পদের দরপতন ঘটলে এরও দাম ওঠা-নামা করে। সেগুলোর পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।
ডিবিটেক/বিএমটি