৪৭ বছর পর চাঁদের উদ্দেশ্য পাড়ি দিলো রাশিয়ার চন্দ্রযান ‘লুনা ২৫’। শুক্রবার মস্কো থেকে কিছুটা দূরের এক জায়গা থেকে লুনা ২৫-র সফল উৎক্ষেপণ করা হয়।
উৎক্ষেপণের দিন দশ-বারো মধ্যেই চাঁদে অবতরণ করার কথা পুতিনের দেশের চন্দ্রযানের। ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে কোণঠাসা রাশিয়া চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়ে দুনিয়ার কাছে বার্তা রাখলো যে রাশিয়া থমকে যায়নি।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানি, বরফের সন্ধানসহ নানা গবেষণার কাজে রোবটিক ল্যান্ডার পাঠিয়েছে রাশিয়া। সব ঠিকঠাক থাকলে ভারতের চন্দ্রযানের দিন দুয়েক আগেই চাঁদে অবতরণ করবে রাশিয়ার লুনা।
আগামী ১৬ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে রাশিয়ার চন্দ্রযান ‘লুনা ২৫’। তারপর ২১ আগস্ট সেটি চাঁদে ল্যান্ড করার কথা। তবে এমনও মনে করা হচ্ছে ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর সঙ্গে ২৩ আগস্ট রাশিয়ার লুনা ২৫-এ চাঁদে অবতরণ করবে। তবে সবই নির্ভর করছে লুনা ২৫-র চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছনোর পর তার টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর।
চাঁদের পৃষ্ঠে যাওয়ার আগে তিন-সাতদিন ধরে ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) পথ আর্বতন করবে পুতিনের দেশের চন্দ্রযান। চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের সাড়ে পাঁচদিনের মধ্যে সেখানে পৌঁছে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে ‘লুনা ২৫’। যেখানে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ গত ১৪ জুলাই চাঁদের উদ্দেশ্য পাড়ি দেওয়ার পর গত ৫ আগস্ট ইসরোর মহাকাশযান প্রবেশ করে চাঁদের কক্ষপথে।
যেখানে ভারতের চন্দ্রযান আগামী ২৩ আগস্ট চাঁদে অবতরণ রাখতে পারে। তার দিন সাতেকের মধ্যে চাঁদে নামছে রাশিয়ার ‘লুনা’। ইউক্রেন আক্রমণের বছরখানেক আগেই লুনা ২৫ চাঁদে যেতে তৈরি করে ফেলেছিলো রাশিয়া। কিন্তু যুদ্ধের কারণে মহাকাশ লড়াই থেকে সরে আসেন পুতিন। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধে চাপে থাকার পর রাশিয়ার প্রত্যাবর্তনের গর্জন গোটা বিশ্বে পৌঁছে দিতে চাঁদযাত্রাকেই বেছে নিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
১৯৭৬ সালে শেষবার চাঁদে গিয়েছিলো রাশিয়ার (তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন) চন্দ্রযান। চাঁদ থেকে আর তেমন কিছু পাওয়ার আশা নেই ভেবে সেখানে যাওয়ার যাবতীয় মিশন বাতিল করেছিল সোভিয়েত রাশিয়া সরকার। কিন্তু চাঁদ নিয়ে আবার উৎসাহিত হয়েছে পুতিনের দেশ।
ডিবিটেক/বিএমটি