সবার হাতের নাগালে প্রযুক্তিপণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য আবারো ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এই খাতের বোদ্ধারা। দেশের সবচেয়ে বড় কম্পিউটার প্রযুক্তি বাজার বিসিএস কম্পিউটার সিটির ২৩তম বার্ষিক মেলা সিটিআইটি মেগা ফেয়ারে উদ্বোধনী বক্তব্যে এই দাবি তোলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এশিয়ান-ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অর্গানাইজেশনের (অ্যাসোসিও) অ্যাওয়ার্ড কমিটির আজীবন চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি বলেন, ‘প্রযুক্তিবান্ধব সরকার প্রযুক্তিপণ্যের ওপর ভ্যাট আরোপ করেছে। সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এর প্রভাব পড়বে। সবার হাতের নাগালে প্রযুক্তিপণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে।’
এছাড়াও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, ‘ভ্যাট প্রত্যাহারের পাশাপাশি প্রযুক্তিপণ্যকে জরুরি পণ্য বিবেচনা করে ঋণপত্র (এলসি) খোলার প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।’ আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এমআরপি অনুযায়ী প্রযুক্তিপণ্যের দাম নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি যখন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি তখন কম্পিউটার আমদানীতে শুল্ক সুবিধা দিয়েছিলো তৎকালীন সরকার।
সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কম্পিউটার সাধারণের নাগালে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, সকলের জন্য ডিজিটাল যন্ত্র সহজ লভ্য করার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তিকে আরো সুদৃঢ় করার বিকল্প নেই। শক্তিশালী ভিত্তির ওপরেই স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়িত হবে।
এসময় তিনি ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন ও উৎপাদিত যন্ত্র প্রমোট ও বাজারজাত করতে নীতি নির্ধারক ও ট্রেডবডিসহ ডিজিটাল পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় ও সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো কার্যকর ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিএস কম্পিউটার সিটির প্রথম সভাপতি আহমেদ হাসান, বিসিএস কম্পিউটার সিটির সভাপতি এ এল মজহার ইমাম চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।