জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে সকালের শুরুতে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে আইসিটি টাওয়ারে স্থাপিত এই প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম ছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্প প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শেখ রাসেল দিবস ২০২২ এর উদ্বোধন ও শেখ রাসেল পদক প্রদান অনুষ্ঠান উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। পরিকল্পনা কমিশন এর সামনে হতে বিআইসিসি প্রাঙ্গন পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশনেন শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের সভাপতি কে এম শহীদুল্লাহ, এটুআই প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মাদ হুমায়ূন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি মহাপরিচালক খায়রুল আমিন,বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এসময় জুনাইদ আহমেদ পলক, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিলো। এর মধ্যে ছিলো দুরন্ত, নির্মল ১০ বছরের নিষ্পাপ শিশু রাসেলও। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দেশের প্রতিটি শিশু কিশোরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে জাতীয়ভাবে এই দিবস পালন করছি। আজকের দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০০টি সংসদীয় আসনে একটি করে স্কুল অব ফিউচার এবং দেশজুড়ে আরো ৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব উদ্বোধন করবেন।
এছাড়াও জাতীয় এই দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষ থেকে সকাল ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে পায়রা মুক্ত করা হয়। এরপর ১০টায় বিআইসিসি’র হল অব ফেম-এ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ রাসেল দিবস-এর উদ্বোধন করে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি শেখ রাসেলের শৈশবের স্মৃতি অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এরপর শেখ রাসেল পদক প্রদান করবেন প্রতিমন্ত্রী।
একই ভেন্যুতে দুপুর আড়াইটায় “শেখ রাসেলের নির্মম হত্যাকান্ড ন্যায় বিচার, শান্তি ও প্রগতির পথে কালো অধ্যায়” শীর্ষক জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
ভোরে বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় এই দিবসের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুর এই দুই কন্যা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে সেখানে সমাহিত স্বজনদের কবরে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন তারা।