মোল্ড, ডাইস ও স্পেয়ার পার্টস তৈরিতে ডিজিটাল ম্যানুফ্যাকচারিং ও ডিজিটাল রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ব্যবহারবিষয়ক একটি ফ্রি কর্মশালার আয়োজন করেছিল এক্সোনিক্স লিমিটেড। গত শনিবার গাজীপুরে ফ্রি এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন কোম্পানি এবং বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন মনোনীত ২৫ জন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ এতে অংশ নেন।
কর্মশালার শুরুতে কোম্পানির কারিগরি পরামর্শক সৌদি আরবের দাম্মাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মাহবুবুন্নবী তমাল বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর স্থানীয় বাজারে বার্ষিক ২৮ হাজার কোটি টাকার বেশি প্লাস্টিক পণ্য বিক্রি হয়। এ বিপুল পণ্য তৈরিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের মোল্ড প্রয়োজন হয়। স্থানীয় উদ্যোক্তারা এর মাত্র ৩০ থেকে ৪০ ভাগ জোগান দেন। বাকিটুকু আমদানি-নির্ভর।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিপিজিএমইএ-এর মতে স্থানীয় বাজারে প্রতি বছর ২০% হারে প্লাস্টিক পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০৩০-এর মধ্যে মাথাপিছু প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার পৌঁছাবে ৩৫ কেজিতে, বর্তমানে যা মাত্র ৯ কেজি। বাংলাদেশ যদি বৈশ্বিক বাজারের মোট চাহিদার ১%-ও করায়ত্ত করতে পারে, তবে প্রতি বছর ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব।
বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সমন্বয়ে ভবিষ্যতে বৃহত্তর পরিসরে অনুরূপ কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান এক্সোনিক্স লিমিটেডের কর্মকর্তারা। আয়োজকরা মনে করছেন, কম্পিউটারাইজড সিমিউলেশনের মাধ্যমে ডিজিটাল ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ব্যবহার স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে এবং একই সঙ্গে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে আমদানি-নির্ভরতা কমাবে। এ প্রযুক্তির ব্যবহার বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকারক কার্বন নিঃসরণও কমিয়ে আনবে।