‘মেড ইন বাংলাদেশ’ নোকিয়া ফোনের বাটন চেপে চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়- চুয়েট এ বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক দেশের প্রথম ইউনিবেটর– ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইউনকিউবেটর’ এবং শেখ জামাল ও শেখ রোজি জামাল ডরমেটরি উদ্বোধন করা হয়। বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এই তিনটি স্থাপানা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। একই প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এসময় তিনি জানান, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ দশমিক ৭ একর জায়গায় দেশের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ২২০ জনের প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। ২০১৭ এর জুলাই থেকে শুরু করে বেধে দেয়া সময়ের তিন মাস আগেই গুণগত মান ঠিক রেখে ৩ কোটি টাকা সাশ্রয় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে। ইউনিবেটরটির ৫০ হাজার বর্গমিটার জায়গায় ঢাকা থেকে বেশকিছু স্টার্টআপ এবং আইটি কোম্পানি ২টি ফ্লোর ভাড়া নিয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী, সারাদেশে হাইটেক পার্ক স্থাপন কার্যক্রমের পর আজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইনকিবেটর সেন্টার স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিজনেস সেন্টার স্থাপনে যে মাইন্ডসেট গ্যাপ ছিলো তা দূর হলো। আজ বাংলাদেশে ৯টি হাইটেক পার্কে ১৩ হাজার তরুণ-তরুণী কাজ করছে। গাজীপুরে কালিয়াকৈর বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে অবস্থিত বিশ্বখ্যাত নকিয়ার তৈরি মেড ইন বাংলাদেশ স্মার্টফোন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ এই ইনকিউবেটর উদ্বোধন করবেন। এভাবেই ৩ বছরের এই পরিবর্তিত বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
পলক আরো বলেন, আজকেই এই উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক উত্তীর্ণদের স্বপ্ন পূরণে অবদান রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করবে। এর মাধ্যমে আমরা আত্ম নির্ভরশীল উদ্যোক্তা নির্ভর সমৃদ্ধ ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সঞ্চালনায় আইসিটি টাওয়ারের সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্তে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ও ভূমিমন্ত্রী সাঈফুজ্জামান চৌধুরী সংযুক্ত ছিলেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল হক. হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, সাবেক এমডি হোসনে আরা বেগম প্রমুখ।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম-৬ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারসহ উর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা।