দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রচলিত ধারা পরিবর্তন করে নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মিশ্রিত শিক্ষা ব্যবস্থা বা ব্লেন্ডেড লার্নিং শিক্ষা চালু করতে একসঙ্গে কাজ করছে এটুআই, বিটিআরসি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এবার এর সঙ্গে যুক্ত করা হলো বিভিন্ন খাতের অংশীজনদেরও। দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপনের মধ্যদিয়ে কীভাবে এই কাজে সফল হওয়া যায় তা নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘কানেক্টিভিটি ফর এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন্স অ্যান্ড ব্লেন্ডেড এডুকেশন বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২’-কর্মশালা।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), এটুআই এবং বাংলাদেশ আ্যালায়েন্স ফর অ্যাফোরডেবল ইন্টারনেট (এফোরএআই)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালায় এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে জাতীয় ব্রডব্যান্ড পলিসির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল ও গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থা মিলে একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে প্রবেশ করা, যাতে দেশের প্রান্তিক এলাকাসহ সকল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকারের সুযোগ পায়।
তিনি আরো বলেন, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থী যাতে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পায় সেজন্য ডিজিটাল ও গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থার সংমিশ্রনে ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড পলিসি ২০২২ এর আলোকে পরবর্তীতে ১০ বছরে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি আমাদের দেশের সাড়ে চারকোটি শিক্ষার্থী এবং ১০ লাখ শিক্ষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান ব্যান্ডউইথের চাহিদা মাথায় রেখে আমাদের ২০২৫, ২০৩০ ও ২০৪১ সালের পরিকল্পনা সাজাতে হবে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক ও এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসি’র চেয়্যারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।