চামড়াজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও আসবাব খাতের মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের উদ্যোগগুলোর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম নিয়ে প্রচারণা বাড়াতে বি-স্কিলফুল কর্মসূচির অধীনে অংশীদারিত্ব করছে সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশ ও দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড। এই অংশীদারিত্বের ফলে দারাজ এখন থেকে এমএসএমইগুলোকে ই-কমার্স নিয়ে সচেতন করে তুলতে কাজ করবে। তাদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে ডিজিটাল শপ চালু ও পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।
এ উপলক্ষে সম্প্রতি দারাজ বাংলাদেশ-এর বনানী হেডকোয়ার্টারে একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বুধবার (২৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর মাধ্যমে এমএসএমইগুলো আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে এবং তাদের সেলস সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এ অংশীদারিত্বের ফলে এমএসএমই উদ্যোগগুলো দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে বাণিজ্যিক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করবে, যা এমএসএমই উদ্যোগগুলোর বিপণনের ক্ষেত্রে উন্নত পদ্ধতি অনুশীলনীর মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে পারবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান এবং বি-স্কিলফুল প্রোগ্রামের টিম লিডার দায়না সরেনসেন, ঢাকায় সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হেড অব কো-অপারেশন কোরিন হেনচোজ পিনিয়ানি ও ইনকাম অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার আমিনা চৌধুরী। দারাজ বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ এইচ এম হাসিনুল কুদ্দুস রুশো ও চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাব্বির হোসেন।
অনুষ্ঠানে দারাজ বাংলাদেশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাব্বির হোসেন বলেন, ‘দারাজের লক্ষ্য ডিজিটাল বিভাজন হ্রাস করা। এই লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে এই অংশীদারিত্ব স্থানীয় উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে তাদের ব্যবসার প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।’ সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব কো-অপারেশন কোরিন হেনচোজ পিনিয়ানি বলেন, ‘এমএসএমই পর্যায়ে ই-কমার্সের মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশন এমএসএমইগুলোর সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে এবং বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।’
বি-স্কিলফুল প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে— চার বছরব্যাপী দক্ষতা ও এন্টারপ্রাইজ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম। এ কর্মসূচির আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস এবং বাস্তবায়ন করছে সুইসকন্ট্যাক্ট। কর্মসূচিটি ছয়টি জেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমএসএমই উদ্যোগগুলোর উৎপাদনশীলতা ও প্রতিযোগিতামূলক মানসকিতার উন্নতির পাশাপাশি বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেসের (বিডিএস) মাধ্যমে অন্তত ৮০০ এমএসএমই উদ্যোগে এবং ওয়ার্কপ্লেস-বেজড ট্রেইনিংয়ের (ডব্লিউবিটি) মাধ্যমে অন্তত ১৩ হাজার নতুন ও পুরনো কর্মীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে কাজ করছে এ কর্মসূচি।