আইনে বন্ধ থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তামাক বিজ্ঞাপন চলছে। বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে আকর্ষণী প্রদর্শনীর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের কঠোর হস্তক্ষেপের জোর দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় এই দাবি জানানো হয়। কর্মশালায় পরোক্ষভাবে তামাক পণ্য বিজ্ঞাপন ও পণ্য প্রদর্শনের ওপর করা গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়।
গবেষণায় দেখানো হয়, ধূমপানে প্রলুব্ধ করতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ও জাপান টোব্যাকো এখন মোবাইল ভেন্ডরদের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন, ব্যবসা ও অর্থনৈতিক সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক; মোস্তাফিজুর রহমান, লীড পলিসি অ্যাডভাইজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে); মোঃ আতাউর রহমান (মাসুদ), সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার, সিটিএফকে; মোঃ আব্দুস সালাম মিয়া, গ্রান্টস ম্যানেজার, সিটিএফকে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ভয়েসের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ স্বপন মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তামাক বিপণনে প্রাকশ্যে কৌশলী প্রলুব্ধকরণের দরজা বন্ধ না হলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশের নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। এজন্য বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে আরো জোরদার করে সকল বিক্রয় কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন, বিজ্ঞাপন ও প্রচার নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি পয়েন্ট অব সেল বন্ধ করতে আইন করার দাবি জানানো হয়। অধূমপায়ীদের বিশেষ করে শিশু ও নারীদের পরোক্ষ ধুমপান হতে বাঁচানোর জন্যে সব ধরনের পাবলিক প্লেস থেকে পৃথক ধুমপান এলাকার রাখার বিধান বাতিল করার জোর দাবি এসেছে এই কর্মশালায়।
কর্মশালায় ৩০ জন সাংবাদিক গবেষণার ফলাফল থেকে সংবাদের জন্য সম্ভাব্য শিরোনাম তৈরি করেন এবং তা উপস্থাপন করেন। সাংবাদিকরা তামাক কোম্পানির অসুস্থ কৌশল এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার জন্য এবং বৃহত্তর জনস্বাস্থ্যের জন্য আরও রিপোর্ট করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।